যতই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে। কোচবিহার রাসমেলার ময়দান থেকে বৃহস্পতিবার তেমনই তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়ানোর বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রাজ্যের উন্নয়নের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিঁধে অমিত শাহ এদিন বলেন, “নরেন্দ্র মোদী গরিবের কল্যাণ ভাবেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপোর কল্যাণ ভাবেন।” এই বার্তা এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করার পক্ষে যে যথেষ্ট সেটা এখন বিজেপি তথা বাংলার মানুষ বুঝে গেছেন। কেননা তৃণমূল ছেড়ে “ভাইপো হঠাও” স্লোগান দিয়ে এই বিষয়টি প্রথম পরিষ্কার করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেননা শুভেন্দু অধিকারী যে ভাবে “ভাইপো হঠাও” স্লোগান সব সভায় দিচ্ছেন সেটা মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরও করেননি।
কাজেই এখন মমতা যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের আর সবার চাইতে বাড়তি গুরুত্ব দেন সেটা শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করে দিয়েছেন। আর তাই বৃহস্পতিবারের সভা থেকে অমিত শাহের “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপোর কল্যাণ ভাবেন” মন্তব্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে রাজ্যবাসীর কাছে যে আরও লঘু করে দেবে তাতে সন্দেহ নেই।
এদিন অমিত শাহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী। মা-মাটি-মানুষের নামে সরকার গড়ে মমতাদি শুধু ভাইপোর দিকটাই দেখে গেছেন। উত্তরবঙ্গের জন্য নরেন্দ্র মোদীর অনেক প্রকল্প তৈরী আছে।গত ৫ বছরে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি তাহা কেন্দ্র দিয়েছে উত্তরবঙ্গের জন্য দিয়েছে।আপনাদের গ্রামে কিছু পৌঁছেছে? সব ভাইপো নিয়ে নিয়েছে। দুর্নীতি করে পিসি-ভাইপো সব টাকা হজম করে নিয়েছে।
ভারত সরকার বাংলার সরকারকে সাহায্য করলে মমতাদি সেটা নিতে চান না। দিদি শুধু ঝগড়া করছেন। ভারত সরকার বাংলাকে সাহায্য করলে সেটা কী খারাপ? বাংলার সরকারকে কেন্দ্র সাহায্য করলে মমতাদি সেটা নেন না। সুভাষবাবুর (পড়ুন নেতাজি সুভাষ চান্দ্রা বসু)-র জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও ঝগড়া করেছেন। ৭ কোটি মানুষের ঘরে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৫ লক্ষ করে টাকা মোদী সরকার দেওয়ার জন্য চেষ্টা করলেন। মমতাদির এই যোজনা পছন্দ হলো না।মামাটাদিকে বলছি আপনি আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। ১১৫টি প্রকল্প মোদী সরকার গরিবের জন্য করেছে। গরিব কল্যাণে মোদী সরকার, আর মমতাদির ভাবনা ভাইপোর কল্যাণে।”