দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপ্তম দফার ভোট গ্রহণের আগে বাংলায় এসে বড় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের টাকিতে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “গত পাঁচ-ছয় দফার ভোটে একার ক্ষমতাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন জিতে গেছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত যে সার্ভে বা জনমত সমীক্ষা আসছে তাতে সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলা থেকে যে আসন পাবে বিজেপি তাতে তিনশ পেরিয়ে যাবে”।
তাঁর কথায়, বিজেপি একাই তিনশ পেলে বুঝতে পারছেন এনডিএ কতগুলি আসনে জিতবে। আর তাতেই এ বার উল্লেখযোগ্য অবদান থাকবে বাংলার।
শুধু আসন জেতার কথা বলেই এ দিন ক্ষান্ত থাকেননি নরেন্দ্র মোদী। বক্তৃতায় মমতাকে কটাক্ষ করার প্রসঙ্গে এক সময়ে বলেন, “ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমার ফের শপথ গ্রহণের পর আপনি আমার বাড়িতে আসবেন..।”
এ বার লোকসভা ভোটের আগে থেকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দাবি করছেন বাংলায় এ বার ২২ টি আসনে জিতবে বিজেপি। কোথা থেকে সেই সংখ্যায় তিনি পৌঁছলেন সেটা অবশ্য রহস্য। এমন পরিবর্তনের ঝড় বাংলায় রয়েছে কিনা সেও প্রশ্ন।
স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি-কে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রচার সভা থেকে রোজই বলছেন, বাংলায় ছাই পাবে বিজেপি। গোল্লা পাবে। শুধু তা নয়, বুধবারও আগরপাড়ার সভা থেকে দিদি বলেন, তিনশ দূর ওরা তিনটে আসন পায় কিনা দেখুন।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের বক্তব্য, মোদী যে ভাবে দাবি করেছেন যে, গত ৬ দফার ভোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ফেলেছেন, এমন দাবি কি ভোট চলাকালীন করা যায়? কেন না তিনি বলেছেন, বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে তিনি এমন ইঙ্গিত পাচ্ছেন। কিন্তু ভোট গ্রহণ পর্ব না মিটলে কোনও বুথফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ তো নির্বাচনী বিধির বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেষ দফার নির্বাচনের আগে সব পক্ষই মরিয়া হয়ে উঠেছে। হতে পারে বাংলা তথা গোটা দেশের ভোটারদের প্রভাবিত করতেই মোদী এ কথা বলেছেন। কারণ, কোন কথা কী ভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করবে, কে বলতে পারে।
তবে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, মোদী যে শুধু জনসভায় এ কথা বলছেন তা নয়। ঘরোয়া আলোচনাতেও এমনই প্রত্যয় দেখাচ্ছেন। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, যে যাই বলুন বিজেপি-তে সব থেকে বেশি চাপে থাকার কথা কিন্তু মোদীরই। কারণ, তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা সেই উদ্বেগ নিশ্চয়ই তাঁর রয়েছে। কিন্তু কথা বার্তায় মোদী এতটাই স্বাভাবিক ও আত্মবিশ্বাসী যে দেখে অবাক হচ্ছেন দলের অনেকেই।