দেশের ক্ষমতায় মোদী ২.০, যিনি মাত্র একটা কাজ করলেই ভারত হবে বিশ্বগুরু।

বিশ্বের কাছে এখন তিন নেতা রয়েছে যারা জনগণের অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে। নাম্বার তিন- রুশের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন , নাম্বার ২- শি জিনপিং এবং এক নাম্বার স্থানে নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের সবথেকে বেশি জনসমর্থন পাওয়া নেতা হলেন ভারতের নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। তবে বর্তমানের মোদী আর ২০১৪ সালের মোদী নেই। বর্তমানে মোদী আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী অনেক বেশি দক্ষ নেতা। এর কারণ ৫ বছর ধরে দেশের সমস্যার সাথে লড়াই করতে করতে উনি আগের তুলনায় অনেক বেশি নিপুণ হয়েছেন।

অন্যদিকে ২০১৪ সালের থেকে বেশি ভোট পাওয়ার কারণে মোদীর হাত আগের থেকে বেশি মজবুত হয়েছে। এখন কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মোদীকে দুবার চিন্তা করতে হবে না, নির্দ্বিধায় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আজকের মোদীর কাঁধ এতটাই উঁচু হয়েগেছে যে ইনার সামনে বিরোধীরা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। আর ভবিষ্যতেও বিরোধীরা মোদীর জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ হবার নয়। যতদিন মোদী আছেন ততদিন মোদীই থাকবেন। এখন মোদীর সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ দেশের বিকাশ।

বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী ২.০ ( Modi 2.0 ), যাকে ভারতের জনগণ প্রধানমন্ত্রীর আসনে।বসিয়ে দিয়েছেন। এখন দেশের মূল সমস্যার সাথে হাতাহাতি করে দেশের দুর্বলতা দূর করাই মোদীর কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। মোদীর উপর মনুষের আস্থা জমে গেছে, এবার শুরু হবে ভারতকে বিশ্বগুরুর আসনে বসানোর জন্য আসল লড়াই। ভারতের ৫০% জনসংখ্যা ২৫ বছরের থেকে কম বয়সের এবং মোট ৬৫% জনসংখ্যা ৩৫ বছরের থেকে কম বয়সী।

যুব জনসংখ্যা এখন আশার আলো হিসেবে মোদী ২.০ এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। দেশকে বিশ্বগুরুর আসনে বসিয়ে রাখতে হলে এই যুব জনসংখ্যার জন্য দুর্নীতিবিহীন ভারতকে তদের হাতে তুলে দিতে হবে। দেশের সব স্থান থেকে দুর্নীতি মুছে ফেলতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে। দুর্নীতির মূল গোড়ায় আঘাত করতে হবে। এডুকেশন সিস্টেম এবং রিকুইরমেন্ট(চাকরির নিযুক্ত) থেকে দুর্নীতি মুছে ফেলা হবে পুরো ভারত দুর্নীতিবিহীন হওয়ার দিকে অগ্রসর হবে।

ভারত সততার দেশ, বেশিরভাগ মানুষ সৎভাবে বাঁচতে চাই। কিন্তু ইংরেজরা ব্যাবসা করতে এসে ভারতকে পরাধীন করার লক্ষে এই দুর্নীতি ভারতের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে। যা আজ বিশাল রূপ ধারণ করেছে। এই বিশালরূপী দুর্নীতিকে মুছে ফেলতে হলে গোড়ায় আক্রমন করতে হবে। প্রয়োজন হলে মেকেলে ও মাক্সমূলার নীতি দ্বারা পরিচালিত ভারতের পুরো এডুকেশন সিস্টেমকে ভেঙে ফেলে ভারতের পুরানো সিস্টেম ফিরিয়ে আনতে হবে। শিক্ষা ব্যাবস্থা ও নিযুক্তি থেকে দুর্নীতিকে মুছে ফেলা হলে দেশ নিঃসন্দেহে বিশ্বগুরু হওয়ার দিকে এগোবে। আর এই কাজ মোদী নয় মোদী ২.০ এর দ্বারাই সম্ভব। মোদী ২.০ এর কাছে দেশ পরিবর্তন করার সেই ব্যাপক শক্তি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.