মমতার বিরুদ্ধে প্রচারে নামবেন মিঠুন, নন্দীগ্রামে শেষ দিনের প্রচারে থাকতে পারেন মহাগুরু

৭ মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চের একটা ছবি অনেকের নজরে পড়েছিল। মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর কানে কানে কী যেন বলছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পরে জানা যায়, শুভেন্দুকে মিঠুন নাকি বলেছিলেন, তুমিই দরজা খুলেছো, নইলে বাকিরা সাহস পেত না! সেই সঙ্গে এও বলেন, নন্দীগ্রামে তিনি প্রচারে যেতে চান।

বৃহস্পতিবার শালতোড়া ও কেশিয়ারিতে রোড শো করেছেন মিঠুন। কিন্তু নন্দীগ্রামে মিঠুনের প্রচারে যেতে চাওয়া শালতোড়ার সঙ্গে মেলালে হয়তো ভুল হবে। বরং অনেকের মতে, এর মধ্যেও অর্থ রয়েছে। মিঠুন সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচার করতে আগ্রহী। এক সময়ে যাঁকে নেত্রী মেনেছিলেন। নন্দীগ্রামে তিনি পরাস্ত হোন তা চাইছেন মিঠুন।

নন্দীগ্রামে এক বার তিন দিনের জন্য প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর তাঁর হয়ে কখনও প্রচারে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও শতাব্দী রায়, কখনও সমীর চক্রবর্তী বা ব্রাত্য বসু।

বৃহস্পতিবার রোড শো করেছেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব। মমতা পুনরায় সম্ভবত যাবেন ২৮ বা ২৯ তারিখ। শেষ বেলায় নন্দীগ্রামে প্রচার করবেন তিনি।

কিন্তু বিজেপিও সেদিন মাঠ ছাড়তে চাইছে না। শুভেন্দু অধিকারী প্রচারে তো থাকবেনই। সেই সঙ্গে ৩০ এপ্রিল নন্দীগ্রামে শেষ দিনের প্রচারে রোড শো করতে পারেন মিঠুন। তার পর সেই সভার শেষে বক্তৃতাও দেবেন।

স্থানীয় সূত্রের মতে, নন্দীগ্রামে শেষ লগ্নের প্রচার নিয়ে প্রশাসনও উদ্বেগে কাঁটা হয়ে রয়েছে। এর আগে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর রাজ্য প্রশাসন রিপোর্ট দিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী সেদিন ঘনঘন রুট বদলেছেন। ফলে তাঁর নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। তার পর নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে প্রশাসনকে বলেছে, আগে থেকে কোনও প্রার্থীকে যে রুটের অনুমতি দেওয়া হবে তা বদলানো যাবে না।

কিন্তু অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই শর্ত মানতে চাইবেন না কিনা সংশয় রয়েছে। ফলে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। একই ভাবে বিজেপি কী রুট সাজাতে চাইবে সেও দেখার।

সব মিলিয়ে শেষবেলায় জমজমাট থাকবে নন্দীগ্রাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.