বাংলায় এসে শীতলকুচির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তিনি বলেন, আত্মরক্ষা ও অস্ত্র বাঁচাতেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷
শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার যুবকের মৃত্যুতে রবিবার শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে প্রচারে শাহ বলেন, ‘চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে একটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। একটি বুথে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হামলা করে। সিএপিএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যখন সিএপিএফ আত্মরক্ষায় অস্ত্র রক্ষা করতে গুলি চালায় তখন চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা’।
উল্লেখ্য, এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা জেনোসাইড। গুলি করতে হলে কোমরের নীচে করতে হয়, প্রত্যেকটা গুলি গলায় বা বুকে লেগেছে। গুলি স্প্রে করেছে। এরা মিষ্টি মুখে খুন করতে পারে, রসগোল্লা খেতে খেতেও।” কোচবিহারের এসপি শনিবার কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে। সে বিষয়ে মমতার দাবি, এসপিকে বিজেপি বসিয়েছে তাই তাঁর এমন বয়ান।
শনিবার শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাজ্যে এসে মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করলেন অমিত। এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘যে ভাবে এই ঘটনার রাজনীতিকরণ হচ্ছে তা এর থেকেও দুঃখজনক। শাহ বলেন, ‘আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। বাকিদের মৃত্যুতেও আমরা দুঃখিত। মৃত্যু সব সময় রাজনীতির উর্ধে থাকা উচিত। কিন্তু উনি আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে কোনও কথা বলেননি। কারণ, আনন্দ বর্মন রাজবংশী সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ধরণের রাজনীতি বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী’৷ এরপরই তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মমতা দিদির কাছে এখনও সময় রয়েছে। উনি আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করুন এবং যে ভাষণ উনি দিয়েছেন সেজন্য বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চান’।
এদিন বসিরহাটের জনসভায় অমিত শাহ বলেন, “বাংলায় দিদির বিদায়ের সময় এসে গিয়েছে। ১০ বছর শাসন করেছেন দিদি। তাঁকে কি আর ছোট বিদায় দেওয়া যায়। বড় দিদির বিদায়ও বড় করে হবে। ২০০ আসন নিয়ে দিদিকে বিদায় দেব।”