হাটইকড়ার ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপির সংখ্যা লঘু মোর্চার রাজ্য সম্পাদক সেখ সামাদ। মঙ্গলবার তাঁকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে তাঁকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাকে গ্রেফতারের পর এদিন তাঁকে আদালতে তোলার পর আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, শুধু হাটইকড়া নয় আরও তাঁকে মোট পাঁচটি মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে পলতক ছিল। তবে ওই বিজেপি নেতা সেখ সামাদের দাবি, তিনি পলাতক ছিলেন না। গত কয়েকদিনের হাটইকড়ার বিভিন্ন কর্মসূচি- সহ গত একমাস ধরে দলের সমস্ত কর্মসূচিতে তিনি পুলিশের সামনেই ঘোরাঘুরি করেছেন। মূলত পাড়ুই এলাকায় বিজেপিকে আটকানোর জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এই সব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
সেই হাটইকড়াকে শান্ত করতেই সোমবার গভীরে রাতে নিজের বাড়ি থেকে সেখ সামাদকে গ্রেফতার করে পাড়ুই থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭, ২৫/২৭ আস্ত্র আইন, ৩২৬- সহ একাধিক জামিন অযোগ্য মামলা রুজু করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে সিউড়ি জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্র্যাট সৌম চ্যাটার্জির এজলাসে তোলা হয়। আদালত সূত্রে খবর, তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সেখ সামাদকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয় যদিও বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই নিয়ে সরকারি আইনজীবী কেশব দেওয়াসী বলেন,”পাড়ুইয়ের হাটইকড়ার ঘটনায় সেখ সামাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশকিছু পুরোনো মামলাও রয়েছে। সেই সব মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন। এদিন তাকে আদালতে তোলা হলে তার চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।” অন্যদিকে এই নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন,” বিজেপির কার্যকর্তাদের তৃণমূল এবং পুলিশ যৌথভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। মূলত সংখ্যা লঘু মানুষ যারা বিজেপিতে আসছে তাদেরকে হেনস্থা করছে পুলিশ। যদি পথ অবরোধ থেকে হামলার জেরে এই গ্রেফতার হয়ে থাকে তাহলে সেখানে ওসি-ও ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা হল না?” যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, পুলিশকে বোমা মারা থেকে শুরু করে বোমা গুলি নিয়ে এলাকা দাপানো, এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করা- সহ একাধিক অপরাধ মুলক কাজের পিছনে সামাদের হাত আছে। তাই হাটইকড়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্যই সামাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।