দীঘায় নিয়ে গিয়ে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। কাঁথিরই এক নাবালিকাকে দিঘাতে নিয়ে গিয়ে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। পরে ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ ওঠে। গত ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা। বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি কাঁথির তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে তাঁরা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। পরে তাও খারিজ হয়ে যায়।