ভারতে হয়তো করোনার ভ্যাকসিন আসা হয়তো শুধুই সময়ের অপেক্ষা। কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ডেটাবেস তৈরির কাজের জন্য রাজ্যস্তরের নোডাল অফিসারদের ট্রেনিং সেশন শুরু হচ্ছে। এই ফ্রন্টলাইন কর্মীরাই প্রথম করোনার ভ্যাকসিন পাবে বলে ইঙ্গিত রয়েছে, তাই তাঁদের লিস্ট তৈরির কাজের ট্রেনিং শুরু হওয়ায়, অনেকেই মনে করছে, হয়তো ভ্যাকসিন আর বেশি দূরে নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এধরনের ট্রেনিং পদক্ষেপ প্রথম নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, টিকা দেওয়ার অভিযান পরিচালনার জন্য কেন্দ্র তিন কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার চিহ্নিত করেছে।
জানা গিয়েছে, নোডাল অফিসাররা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণে যোগ দেবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভিতরে কন্ট্রোল রুম থেকে এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হবে। ভ্যাকসিনের ত্রুটিহীন বিতরণ নিশ্চিতকরণ, পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং একই সঙ্গে যে পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা রয়েছে তা এড়িয়ে চলতে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ডাটাবেস রাখার জন্য একটি বিশেষ পোর্টালও তৈরি করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার থেকে দেশের চার রাজ্যে চলছে করোনার মাস ভ্যাকসিনেশন। নোভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক তৎপরতা শুরু হয়েছে অসম, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পঞ্জাবে। এই চার রাজ্যের দু’টি জেলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক কর্মসূচী চালানো হচ্ছে।
চার রাজ্যের জেলা হাসপাতাল, শহরাঞ্চল, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কোভিড-ভ্যাকসিনের ড্রাই রান চালানো হচ্ছে। করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচী মাধ্যমে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য হিমঘর ও বন্টনের জন্য পরিবহণের কী ব্যবস্থা রয়েছে তা চার রাজ্যেই খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিক ও টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে তাঁরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে।
নতুন বছরের শুরু থেকেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। সেই মতো তৎপরতা নেওয়া আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল অফিসার, ভ্যাক্সিনেটর, সুপারভাইজার, ডেটা ম্যানেজার, আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।
তবে আশার খবর হল দেশে কিছুটা নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ। সোমবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৩২ জন। মৃত্যু হয়ে হয়েছে ২৫২ জনের। যা কিনা শেষ ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে আশাবাদী সাধারণ মানুষ।