বারাসত থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জমি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দিল নবান্ন। এই রুটে বিমানবন্দর থেকে নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়ে মেট্রো যাবে। সে কারণে সরকারের কাছে জমি চেয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার মেট্রো রেল আধিকারিকদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব মলয় দে এবং স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ণ রাজ্য এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। বিমানবন্দরের সামনের রাস্তা খুব চওড়া নয়। যান জটের চাপও ব্যাপক। ফলে রোজকারের যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখে এই কাজ করা মুখের কথা নয়।
এমন একটি জায়গায় এই মেট্রো প্রকল্প হবে, যার সঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংযোগ হচ্ছে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ভিআইপি কানেক্টর হিসেবেই যশোর রোড ব্যবহার করা হয়। পাশেই বিমানবন্দর। ফলে সমান্তরাল কোনও রাস্তা তৈরিও সম্ভব নয়।
বিমানবন্দর থেকে গড়িয়া লাইনে চিংড়িঘাটা এলাকায় পিলার বসানোর জন্য কিছু জমি জটিলতা রয়েছে। তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। জট কাটানোর জন্য নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্তের নেতৃত্বে একটি কমিটি আজ তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব মলয় দে।
এ ছাড়া জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর ক্ষেত্রে, জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত অনুমোদন আগেই পাওয়া গিয়েছিল। আজ বৈঠকে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, জোকা থেকে বিবাদী বাগ পর্যন্ত পুরো প্রকল্পেরই অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও কিছু জমি জট রয়েছে। সেটা কাটাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুর কমিশনার খলিল আহমেদ কে।