দিঘায় চায়ের দোকানে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চা বানানোকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মুকুল রায়৷ বললেন, “এই সাজানো চিত্রনাট্যের মেলোড্রামা, আপনার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচাতে পারবে না।”
বুধবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে উদয়পুর যাওয়ার সময় কনভয় থামিয়ে একটি চায়ের দোকানে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর সঙ্গে মন্ত্রিসভার দুই সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী আর এমপি শিশির অধিকারী ছিলেন। দোকানি পরিমলকে মমতা বলেন,‘সবার জন্য চিনি কম দিয়ে চা বানাও তো ভাই’। তার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলে উঠলেন‘ভাই সরো, চা’টা আমিই বানাই।’ তারপর চা বানিয়ে সবাইকে খাওয়ান তিনি৷
বৃহস্পতিবার টুইট করে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড লেখেন, “বাংলায় গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত। আপনার দলের গুন্ডাদের হাতে ১০০-র বেশি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছে। এই মেলোড্রামা করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আপনি বাঁচাতে পারবেন না”৷
যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মুকুল রায়৷ তিনি জানেন, তৃণমূলনেত্রী নিজে এভাবে জনসংযোগ করলে বিজেপিকে মানুষ ফিরেও দেখবে না৷ তাই হতাশা থেকেই এই ধরণের টুইট করছেন মুকুল রায়৷
দীঘায় মুখ্যমন্ত্রীর চা বানানোকে কটাক্ষ করেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন ” চা-ওয়ালা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এখন সেটাই অনুসরণ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন চা বানিয়ে সকলকে খাওয়াচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও চরিত্র নেই। আগামীদিনে বিজেপির পথই তৃণমূল অনুসরণ করবে।”
মিড-ডে মিল নিয়ে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চা বানিয়ে খাওয়াচ্ছেন। আর স্কুলের ছোট ছোট শিশুরা নুন- ভাত খাচ্ছেন। প্রশান্ত কিশোর এখন মুখ্যমন্ত্রীকে যা শেখাচ্ছেন। উনি এখন সেভাবেই চলছেন।”