কলকাতা ও মেদিনীপুরে চারটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে প্রাক্তন আইপিএস, বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের। দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় বাজেয়াপ্ত না করলেও এর প্রত্যেকটিতেই এতদিন তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল সিআইডি। তারফলে এর কোনওটিতেই ঢুকতে পারতেন না ভারতী। শনিবার বাজেয়াপ্ত না হওয়া এই বাড়ি ও ফ্ল্যাটের চাবি ভারতীকে হস্তান্তরের নির্দেশ দিল মেদিনীপুর আদালত। ভারতী ঘোষের আইনজীবী অপূর্ব চক্রবর্তী শনিবার এই খবর জানান।
তিনি বলেন, “মেদিনীপুর জেলা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় ফ্ল্যাট এবং বাড়ি সহ তাঁর যে সম্পত্তিগুলি সিআইডি বাজেয়াপ্ত করেনি, সেগুলি তাঁকে হস্তান্তর করা হোক।”
দেড়বছরের মাথায় এ দিন শেষ হয় ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে সোনা প্রতারণা মামলায় সিআইডির তদন্ত প্রক্রিয়া। সিআইডির তরফ থেকে শনিবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের নথি জমা দিয়ে দেওয়া হল আদালতে। পাশাপাশি এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ বলেও জানিয়ে দিয়েছে সিআইডি।
২০১৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সিআইডি দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। টাকা, সোনা, বাড়ির দলিল সহ একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করে। ভারতী-সহ এই মামলায় মোট ৮ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল ছাড়া বাকিরা অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত রয়েছেন। উচ্চ আদালতে জামিন খারিজ হওয়ায় সুজিত মণ্ডলের জামিনের আবেদন এ দিন খারিজ করে নিম্ন আদালতও।
অপুর্ববাবু এ দিন জানান, কলকাতায় ভারতী ঘোষের স্বামী এম এ ভি রাজু এবং ছেলে এম ভেঙ্কটেশ্বরের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দীর্ঘদিন ফ্রিজ করে রাখার পর আদালতের নির্দেশেও খোলা হয়নি। সেই কারণে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার পরবর্তী তারিখ থেকেই দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলার বিচার প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে মেদিনীপুর জেলা আদালতে।