এন আর এস হসপিটালের ইন্টার্ন ডাঃ পরিবহন মুখোপাধ্যায়ের মাথার খুলি মেরে তুবড়ে দিয়েছে কট্টরপন্থীরা। আদিল হারুণ আদিল, নঈম খান, মহম্মদ শাহনওয়াজ আলম আর আফরোজ আলমদের নেতৃত্বে ২ ট্রাক উন্মাদী এসে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা চালিয়েছিল। উন্মাদী কট্টরপন্থীদের এই উৎপাতের পর রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোল শুরু করেছিল যা এখন দেশব্যাপী আন্দোলনের রূপ ধারণ করেছে। আন্দোলন এতটাই ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে যে ডাক্তারের গণইস্তফা দেওয়া শুরু পকরেছে।
প্রথম দিকে পশ্চিমবঙ্গের দুজন বড় প্রফেসর নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। প্রফেসর শৈবাল কুমার মুখার্জী এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল কলকাতার প্রিন্সিপাল ও মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রফেসর সৌরভ চট্টোপাধ্যায় ভাইস প্রিন্সিপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর এখন ইস্তফা দেওয়ার লাইনে লেগে গেছে। সিনিয়র ডাক্তারেরা পর্যন্ত সুরক্ষার দাবিতে ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন। মমতা ব্যানার্জী নিঃশর্ত ক্ষমা চান এই দাবি তুলতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।
খবর আসছিল যে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৮০ জন ডাক্তার ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। তবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮২ জন চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। গতকাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই মমতা ব্যানার্জী চিকিৎসকদের ৪ ঘন্টা সময় দিয়ে হুমকি দেন। এরপর চিকিৎসকদের বিরোধ আরো তীব্র হয়ে পড়ে। এখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে আন্দোলন দিল্লী, ব্যাঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। রাজের পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের সরকারের হাতের বাইরে চলে গেছে। রাজ্য সরকার একদিকে নিজের রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত তখন সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং চিকিৎসারা সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকে এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার দাবিও তুলেছেন।