দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ধর্মতলার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এ ব্যাপারে দেশজুড়ে গণভোট চাওয়া হোক। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে তা সংগঠিত করা হোক সেই নির্বাচন’। তা নিয়ে তখনই একবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুক্রবার ভোর হতেই ফের তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল।
টুইট করে রাজ্যপাল বলেন, “বাইরের হস্তক্ষেপ চেয়ে (পড়ুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায়) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেরকম অসাংবিধানিক পথে হাঁটছেন তা দেখে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক বাতাবরণের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।”
তাঁর কথায়, আমি ওনাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উনি তাঁর বক্তব্য ফিরিয়ে নেননি। সাংবিধানিক পদে থেকে একজন বর্ষীয়াণ নেত্রী এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এর পরিণতি কী বিপজ্জনক হতে পারে সে ব্যাপারে উদাসীন থাকতে পারেন না।
রাজ্যপাল বলেন, ওনার অবস্থান দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিপন্থী দেশকে যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা এটা কখনওই সমর্থন করবেন না।
রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে দেখা গিয়েছে, টুইটারে সাধারণ মানুষ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেছেন, মোদী যখন অনাবাসী ভারতীয়দের ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিতে বলে ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান তুলেছিলেন, তা দেখে আমিও মর্মাহত হয়েছিলাম। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীর থেকে এ ধরনের স্লোগান একেবারেই প্রত্যাশিত বা কাম্য নয়।