এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। সোমবার রেড রোডে বাবাসাহেব আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মিছিল শেষে মঞ্চে উঠে সবার সামনে নতুন স্লোগান তুলে ধরলেন মমতা। এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এই স্লোগানকেই প্রধান হাতিয়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতার প্রধান হাতিয়ার হিসাবে বেশ কিছু স্লোগান তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, “আমি কিছু স্লোগান শিখিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। এই স্লোগানগুলোই আপনারা বলবেন। সেইসঙ্গে নিজের সঙ্গে একটা করে ব্যাজ বানিয়ে নিন। ব্যাজে লেখা থাকবে নো এনআরসি, নো ক্যাব। সেই ব্যাজ পরে থাকুন।” তারপরেই স্লোগান দিতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমি বলব আমরা সবাই, আপনারা বলবেন নাগরিক। আমি বলব আমরা সবাই, আপনারা বলবেন সিটিজেন। আমি বলব এনআরসি, আপনারা বলবেন ছিঃ ছিঃ। আমি বলব সিএএ, আপনারা বলবেন লজ্জা।” এভাবেই স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বেশ কিছুক্ষণ স্লোগান দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করা নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসিকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, এই দুই বিল সাধারণ মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এর ভয়ে পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন মারা গিয়েছেন। এর দায় কার? প্রশ্ন তোলেন মমতা।
যদুবাবুর বাজারে মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “ভোটে জিতেছে বলে সরকারে থেকে যা খুশি করলেই হবে? আমি এখানে যা খুশি তাই করলে আপনারা মানবেন?
এদিনের মিছিলে মমতার সঙ্গে ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ প্রমুখ। বেলা ১টায় যাদবপুরে শুরু হয় মিছিল। গোলপার্ক, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী হয়ে যদুবাবুর বাজারে এসে শেষ হয় মিছিল।