মুসলিম ভোট হারানোর ভয়ে কী প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? এমনই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ঘোষণার দু’দিনের মধ্যেই বিক্ষোভদের চিহ্নিত করে তাদের সম্পত্তি ‘সিল’ করার প্রক্রিয়া শুরু দিল প্রশাসন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে যারা সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতির অর্থ মেটানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথামতো পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
যোগী রাজ্যে এমন ঘোষণার পরে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে রাজ্য বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আইন পাশ করেছিল যে সরকারী সম্পত্তি ভাঙচুর করলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে রাজ্য সরকার। নাগরিক সংশোধনী আইন লোকসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্য জুড়ে যে তান্ডব হয়েছে।
তাতে ভারতীয় রেল সহ রাজ্য সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। ভারতীয় রেল তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানালেও। রাজ্য সরকার তা জানতে পারেনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ পশ্চিমবঙ্গ সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কী ? নাকি ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রশাসনকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখবেন ? কারণ, রাজ্যজুড়ে যারা ভাঙচুর চালিয়েছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করছেন বিজেপির (BJP) বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক স্বাধীন সরকার। তাঁর কথায়, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু, সরকারী সম্পত্তি ভাঙচুর করার বা নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। তাই যোগী আদিত্যনাথের সরকার যা করছে, তা প্রশংসনীয়।” তিনি আরও বলেন, “বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিধানসভা ভাঙচুর হয়েছিল। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি নিজেই সরকারী সম্পত্তি ভাঙচুর করলে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার আইন করেছিলেন। কিন্তু, এখন হয়তো ভোট ব্যাংকের স্বার্থে তিনি কোনো পদক্ষেপ নিতে ভয় পাচ্ছেন।”