পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে NRS কাণ্ড আরো বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত সময় যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিচের দিকে যাচ্ছে। সন্দেশখালির ঘটনার পর NRS কান্ড নিয়ে উত্তপ্ত পুরো রাজ্য। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কট্টরপন্থী উন্মাদীরা ট্রাক বোঝাই করে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা চালিয়ে ছিল। যার পর শুরু হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চিকিৎসকদের হুমকি দিয়ে দিয়েছেন। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ৪ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে এসমা (Essential Service Maintenance Act) জারি করা হবে।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জকে সরাসরি একসেপ্ট করে নেন ডাক্তারেরা। শুরু হয় গণ ইস্তফার ডাক যাতে বহু ডাক্তার ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। ডাক্তারদের প্রতিনিধি মন্ডল রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছেন ইস্যুতে কথা বলার জন্য। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাসন না দিয়ে উল্টে বলেন দুই পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করা হবে এবং মৃতদের পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। মমতা ব্যানার্জী বলেন, দুই পক্ষই মারামারি করেছে তাই সব খতিয়ে দেখা হবে। একটা ইনজেকশন দেওয়ার পর কিভাবে মারা গেল সব খতিয়ে দেখবো বলে বক্তব্য প্রকাশ করেন মমতা ব্যানার্জী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী কট্টরপন্থীদের সমালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অস্বাসন দেওয়া উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু মমতা ব্যানার্জী উল্টে মৃত পরিবারের হয়ে তদন্ত করার কথা বলে স্থিতি বিগড়ে দিয়েছেন। শুধু এই নয় মমতা ব্যানার্জী বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয় সকলেই বহিরাগত। মমতা ব্যানার্জী বলেন ডাক্তার তৈরি করতে সরকারের ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয় কিন্তু এরা এখানে ইন্টার্ন করে বাইরে চলে যায়।