দেশের কৃষকদের আর্থিক অনুদান দিয়েছে মোদী সরকার৷ কিন্তু বাংলার কৃষকরা তা পাননি৷ কারণ পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কৃষকদের তালিকা পাঠাননি৷ অভিযোগ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের৷ হাওড়ার আমতায় রাজনাথ সিং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বৃহস্পতিবার জনসভা করেন৷ সেখানে রাজনাথ সরাসরি অভিযোগ করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পিএম কিষাণ যোজনায় সারা দেশের কৃষকরা ৬ হাজার টাকা করে পাবে৷ ইতিমধ্যেই ৪ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু মমতা বব্দ্যোপাধ্যায় সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলার কৃষকদের কাছে পৌছতেই দিচ্ছেন না৷ সেক্ষেত্রে বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং৷’’
রাজনাথ বলেন, ‘‘২ হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিক সমস্ত কৃষক ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে আগ্রহী৷ ইতিমধ্যেই ৪ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছেন কৃষকরা৷ জেনে রাখা ভালো এবার দেশের সমস্থ কৃষকই পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় আসতে পারবেন৷ জমির পরিমাপ বিচার করা হবে না৷’’এদিন রাজনাথ সিং শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণত্মক হন৷ তিনি বলেন, এই রাজ্যের সর্বনাশ করে গিয়েছে কংগ্রেস, বামপন্থীরা৷ তৃণমূল আরও সর্বনাশ করেছে৷ মমতা দিদি, মা, মাটি মানুষের কথা বলে এসেছেন৷ কিন্তু কেনটি ঠিক কাজ করেছেন দিদি? ইভিএমে জবাব দেবে ভোটাররা৷
রাজনাথের কথায় চতুর্দশ অর্থ কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারকে ২ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র৷ এত বেশি টাকা ইউপিএ সরকারও দেয়নি৷ ইউপিএ জমানায় রাজ্য রাজ্য সরকার ১ লক্ষ কোটি টাকা পেয়ছে৷ এত টাকা পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কী করেছে? বাংলার উন্নয়ন কেন হয়নি তাদের জবাব দিতেই হবে৷ রাজনাথের দাবি, বাংলায় কৃষকরা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পাননি৷ তার জন্য দায়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার৷ ২০২১ সালে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবে৷ কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করবে৷ কৃষকরা ৫ বছরের জন্য একলক্ষ টাকার লোন পাবেন৷
একধাপ এগিয়ে রাজনাথের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজ্যে বন্ধ ৫৫ হাজার কলকারখানা খোলা হবে৷ কিন্তু কটি কলকারখানা খোলা হয়েছে৷ সবটাই প্রতিশ্রুতি হিসেবে থেকে গিয়েছে৷ তবে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর অবশ্যই বন্ধ কলকারখানা খোলা হবে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘কংগ্রেস দেশের দারিদ্রতা কমাতে পারেনি৷ জওহরলাল নেহরু চেষ্টা করেছিলেন৷ পারেননি৷ ইন্দিরা গান্ধী পারেননি৷ রাজীব গান্ধী পারেননি৷ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই দেশ দারিদ্রতা মুক্ত হবে৷ কংগ্রেস মুক্ত ভারত হবে দারিদ্রতা মুক্ত ভারত৷’’