সম্প্রতি করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে সেই টিকা দেওয়ার কর্মসূচী শুরু হবে। রাজ্যে তার পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, ১০০ শতাংশ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ় সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই কী ভাবে বুস্টার ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। বুধবার গঙ্গা সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ দিন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম মুখ্যমন্ত্রীকে বুস্টার ডোজ় নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছিলেন। সেই সময়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এখনও দ্বিতীয় ডোজ় পাননি। কতজনের দ্বিতীয় ডোজ় বাকি, সেই হিসেবও চান তিনি। স্বাস্থ্য সচিব জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দ্বিতীয় ডোজ় সম্পূর্ণ করার হার বেশি হলেও অনেক জেলায় এখনও টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়নি। এরপরই মমতা বলেন, ‘৪০ শতাংশ লোকের এখনও ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ় বাকি। আগে সেকেন্ড ডোজ় হোক , তারপর তো বুস্টার ডোজ়।’ এই বিষয়ে কেন্দ্রকে জানানোর নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা প্রিকশন ডোজ় পাবেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে, তারাও এই প্রিকশন ডোজ় নিতে পারবেন। কো-উইন প্ল্যাটফর্মে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন তাঁরা।
শুধু বয়স্ক বা স্বাস্থ্যকর্মীরাই নয়, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে ভোটকর্মীদেরও দেওয়া হবে বুস্টার। উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর, উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাব, পাঁচ রাজ্যেই আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানকার ভোটকর্মীদের মধ্যেও যাঁরা যোগ্য অর্থাৎ, টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পর ৯ মাস হয়ে গিয়েছে, তাঁরাও প্রিকশন ডোজ় পাবেন। এ ক্ষেত্রে ভোটকর্মীদেরও ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।