উনিশের লোকসভার পর প্রথম দিন নবান্নে গিয়ে প্রশাসনিক স্তরে একের পর এক বদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার এক ডজন জেলায় জেলাশাসক বদল করলেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলগানাথনকে করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওকে দেওয়া হয়েছে হুগলির দায়িত্ব। আবার হুগলির জেলাশাসক জে পি মীনাকে পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক করে। হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীকে করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। বাঁকুড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য্যকে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার দায়িত্ব।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের যুগ্মসচিব উমা শঙ্করকে করা হয়েছে বাঁকুড়ার জেলাশাসক। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের যুগ্মসচিবের দায়িত্ব। নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তকে সরিয়ে তাঁকে করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের যুগ্মসচিব। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাসকেও। তাঁকে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাঁকে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের যুগ্মসচিব ভি ললিথালক্ষ্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কালিম্পংয়ের জেলাশাসকের। আর কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বিশ্বনাথকে সেন্সাস ( জনগণনা ) দফতরের ডিরেক্টর করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্থ দফতরের অতিরিক্ত সচিবের। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের অধিকর্তা বিজয় ভারতীকে করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের অধিকর্তার। অর্থ দফতরের যুগ্মসচিব পবন কাদিয়ানকে নদিয়ার জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারিকে করা হয়েছে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক।
এ দিন নবান্নে ঢুকেই প্রশাসনিক স্তরে বদল ঘটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রসচিবের পদে অত্রি ভট্টাচার্যকে না ফিরিয়ে নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব করা হয় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নতুন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা করা হয় জ্ঞানবন্ত সিংকে। আগে তিনি ছিলেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার। নির্বাচন কমিশন তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল। নতুন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয় নিশাত পারভেজকে। এডিজি আইন-শৃঙ্খলা ছিলেন সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। তাঁকে পাঠানো হয় এডিজি এসটাবলিশমেন্ট পদে।