শুভেন্দু অধিকারীর সভাতে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল সহ বেশ কয়েকজন কর্মধ্যক্ষ! আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
দলের নেতৃত্বে একাংশের অভিযোগ, দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। এদের বিরুদ্ধে যাতে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই আবেদন রেখেছেন স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ।
যদিও এই বিতর্কের মাঝে জেলা পরিষদের সভাধিপতির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সোশ্যাল সাইটে নিজের ভিডিও বার্তা পোষ্ট করে তিনি বলেন, আমি কোথাও যাইনি! মালদহতেই ছিলাম বলে সোশ্যাল সাইটে দেওয়া বার্তায় দাবি করেছেন সভাধিপতি। তিনি আরও বলেছেন, নিজের বাড়িতেই ছিলাম। কিছু মানুষ ভুল বুঝাচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল তিনি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত। যেদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী সমাবেশ করছিলেন সেদিন সভাধিপতি সহ জেলা পরিষদের প্রায় ১০ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলায়।
দলের নেতৃত্বে একাংশের দাবি, দলকে না জানিয়ে তাঁরা সেই সভায় গিয়েছিলেন। সেদিন থেকেই তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ শাসকদলের একাংশ। এমনকি মালদহ জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মী সভায় তাঁদের দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ মালদহ জেলা নেতৃত্বের।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল বলেন, “তাঁদের নামে ভুল বার্তা রটানো হচ্ছে। তাঁরা মালদহতেই রয়েছেন।”
এদিকে তৃণমূলের এই কোন্দলকে কেন্দ্র করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি বিহার ভোটের পরে অনেক তৃনমূল সদস্যই তাদের দল থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে হাওয়া হওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে বলে দাবি বিজেপির।