এক বছর আগে অসুস্থতা নিয়ে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে জবা রায় চিকিৎসা করাতে গেলে তার ওপর কালদীঘির একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী মজিদুর রহমানের কুনজর পড়ে, এক বছর ধরে মেয়েটির পেছনে পড়ে থেকেও কোনো লাভ হয় না এবং জবা রায় মজিদুর রহমান কে ঘৃণা সহ প্রত্যাখ্যান করে।
গত ৬ সেপ্রেম্বর ২০১৯ তারিখে মেয়েটিকে কালদীঘির সেই ডায়গনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাগত কারণে ডেকে পাঠায় মজিদুর রহমান এবং তার ঠিক পরের দিন নদীর পাড়ের মাঠে জবা রায়ের অর্ধনগ্ন গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামের সকলের প্রত্যক্ষ সন্দেহ গিয়ে পড়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী মজিদুর রহমানের ওপর। মেয়েটির বাড়ির লোকজনও গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
কিন্তু এখনও অবধি পুলিশ দোষী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেনি, তদন্তে ঢিলেমি দেখাচ্ছে।
গঙ্গারামপুরের হতদরিদ্র হিন্দু রাজবংশী(SC) পরিবারের জবা রায় রা চিরকাল অজ্ঞাত হয়ে রয়ে যায় এবং ভদ্রলোক বাঙালী হিন্দুদের ও এইসব খবরে কোনো কিছু যায় আসে না , তারা বরং জঙ্গী বুরহানের খবর দেখে বা কফির কাপে চুমুক দিয়ে বলে ওঠে, “দেশে কি যা তা অসহিষ্ণুতা চলছে।”
আপনার রাজ্যেরই গঙ্গারামপুরের হতদরিদ্র হিন্দু রাজবংশী পরিবারের উনিশ বছর বয়সী জবা রায়রা ধর্ষিত হয়ে নৃশংস ভাবে খুন হলে তারা অজ্ঞাতপরিচয় লাশের ঠান্ডা ঘরে চলে যায়।
#JusticeforJobaRoy
অরূপকান্তি পাল