জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ আজ, মঙ্গলবার। বিশেষজ্ঞদের আক্ষেপ একেই জীবনের সবচেয়ে বড় অগ্নিপরীক্ষা ভেবে ফেলার ভুলটা করে বসে অনেকেই। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা তো রয়েছেই, রয়েছেন অভিভাবকরাও। যারা নিজেদের প্রত্যাশামত ফল করে, তাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু আশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যাদের ফারাক থেকে যায়, তাদের অনেককেই গ্রাস করে হতাশা। লোকে কী ভাববে – মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকায় অনেকে ধীরে ধীরে অবসাদের শিকার হয়ে অনভিপ্রেত চরম সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে। চিকিৎসকরা মনে করেন, এই পরিস্থিতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তৈরি হয় মা বাবার চাপিয়ে দেওয়া চাপের কারণে। তাই তাঁরা অভিভাবকদের আগাম সতর্ক করছেন।
মনরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন একজন কিশোর বা কিশোর বা কিশোরী প্রত্যাশামত ফল না করতে পারলে বা পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে মন খারাপ করবে, তাতে অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু জীবনের বাকি সব বিকল্পকে দেখেও না দেখা, এই ফলকেই আঁকড়ে বসে থাকলেই মুশকিল। এই ফল যে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আনয়, সেটা মেনে নেওয়া জরুরি, এর পরেও জীবনে বহু সুযোগ আসবে।
অভিভাবকরাও অযথা অন্য কারোর সাথে তুলনা করবেন না, সন্তানের সাফল্য প্রত্যাশামত না হলে তা সহজ ভাবে নিন। এতে অনাবশ্যক চাপ তৈরি হবে না সন্তানের ওপর। পেরেন্টাল কন্সাল্ট্যান্ট পায়েল ঘোষ মনে করেন – ব্যর্থতার সাথে মানিয়ে নিতে পারার শিক্ষাটাও সন্তানকে দেওয়া জরুরি। অভিভাবকদের সহজ থাকা গুরুত্বপূর্ণ । খারাপ সময়ে বাবা মা পাশে থাকবে, এই বিশ্বাসটা সন্তানের না থাকলে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে।