লোকসভায় বাংলায় রীতিমত গেরুয়া ঝড়। দুপুর পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে বাংলায় ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৬টি আসনে বিজেপি এগিয়ে আর ২৫টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। শুধুমাত্র একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত বাংলায় কোনও খাতায় খুলতে পারেনি বামেরা। লোকসভায় গেরুয়া ঝড়ের এফেক্ট পড়ল বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফলাফলেও। লোকসভার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে আজ। আর সেই কেন্দ্রগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাটপাড়া। আর সেখানেই মুকুল-পুত্রের বিরুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় হল মদন মিত্রের।
এদিন সকাল থেকেই ভাটপাড়া বিধানসভায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে এবার বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিং। আর অন্যদিকে পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্র।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দফায় দফায় মদন মিত্রকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে অর্জুন-পুত্র। শেষমেশ প্রায় কয়েক হাজার ভোটে জিতে গেলেন অর্জুন সিংয়ের ছেলে। প্রেস্টিজিয়াস ভোটে নিজের গড় আগলে রাখলেন অর্জুন সিং।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিং। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকেই প্রার্থী করতে হবে, এই শর্তেই মূলত বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত তাঁর। সেই মতো অর্জুনের খাসতালুকেই তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। প্রার্থী হওয়াতে ভাটপাড়া বিধানসভার বিধায়ক থেকে ইস্তফা দেয় অর্জুন। এরপর সেই লোকসভার পাশাপাশি ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে কমিশন। সেই মতো সেখানে প্রার্থী করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা মন্ত্রী মদন মিত্রকে।
পালটা বিজেপিও অর্জুনের ছেলে পবন সিংকে প্রার্থী করে বিজেপি। রীতিমত প্রেস্টিজিয়াস ফাইট দুপক্ষের। লোকসভা ভোটের দিন তো বটেই বিধানসভা উপ-নির্বাচনের দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ভাটপাড়া। বেলা গড়াতেই একের পর এক বোমাবাজি-সন্ত্রাসের খবর আসতে থাকে। শুধু তাই নয়, রাতের দিকে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ করে চলে বোমাবাজি।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, ভোট মিটে গেলেই গোটা এলাকাজুড়ে হিংসা চলতে থাকে। চলে মুহুর মুহুর বোমাবাজি আর দুষ্কৃতী তাণ্ডব।মঙ্গলবার ব্যাপক বোমাবাজির পর বুধবারও বোমা বাঁধতে গিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। সন্ত্রাসের জন্য বিজেপি দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূলের ঘাড়ে। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে তৃণমূলও।