কয়েক কোটি পেশিসর্বস্ব ভেড়ার চেয়ে কয়েক হাজার মেধাসম্পন্ন সিংহ অনেক বেশি কার্যকর। বিশ্বখ্যাত এই প্রবাদবাক্যটির সৃষ্টি হয়েছিল ইহুদি জাতির মানুষের শুধু মেধাশক্তিইনয়, তাদের দেশপ্রেম এবং দেশের স্বার্থে নিজেদের সবকিছুকে উৎসর্গ করার জন্য যে তীব্র আবেগ, সেই জাতীয়তাবাদী। মনোভাবকে সম্মান জানাতেই। তার প্রমাণ। আজও স্পষ্ট ইহুদি জাতির একমাত্র স্বীকৃত দেশ ইজরায়েলের সার্বিক ক্ষমতায়নে। মাত্র বিরাশি লক্ষ জনসংখ্যার একটা দেশ গোটা বিশ্বের সমনে অন্যতম শক্তিধর এবং অন্যতম মেধাস্থান হিসেবে সগর্বে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে। এ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত প্রতিভার জন্ম হয়েছে। তার একটা বড়ো অংশই ইহুদি। মিলিয়ে নিন নামগুলি। আইনস্টাইন, ফ্রয়েড, বেটোফেন, কার্ল মার্কস, ম্যাক্স প্লাংক, নীলম বোর, বাক ওয়াগনার— এমন আরও অনেকেই ছিলেন ইহুদি পিতা-মাতার সন্তান। এ পর্যন্ত নোবেলজয়ীদের মধ্যে অর্থনীতিতে ৪১ শতাংশ, মেডিসিনে ২৮শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ১৬ শতাংশ, রসায়নে ১৩ শতাংশ আর শান্তিতে ৬শতাংশ জুড়ে রয়েছেন ইহুদিরাই।
আর ঠিক এই কারণেই ইহুদিরা ছিলেন নাৎসি নায়ক অ্যাডলফ হিটলারের চক্ষুশূল। কারণ একটাই। ঈর্ষা। জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, ব্যবসা, বাণিজ্য, ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে শিক্ষা, রাজনীতি, প্রতিরক্ষা— সবেতেই ইহুদিরা এগিয়েছিলেন জার্মানদের থেকে হাজার যোজন দূরত্বে। হিটলারের মতো পেশীশক্তি সর্বস্ব মধ্যমেধার নেতৃত্বাধীন দ্য ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি তাই ১৯২০-র ২৪ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়ার মাত্র ২৫ বছরের মধ্যেই ১৯৪৫-এ ১০ অক্টোবরের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ দল ছিল হিটলার-সর্বস্ব আর হিটলার উগ্র দেশপ্রেমের পরাকাষ্ঠায় হয়ে উঠেছিলেন গণহত্যার আসামি এবং গণতন্ত্রের হত্যাকারী একনায়ক।
আলোচ্য প্রবন্ধের এই ভূমিকাটিকে অনেক পাঠক হয়তো ধান ভানতে শিবের গীত বলে মনে করছেন। কিন্তু আজ এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলি অত্যাচার, বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী জনগোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির সক্রিয় কর্মীবাহিনী ও নেতৃত্বের ওপর অত্যাচার যে পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং অদূর ভবিষ্যতে যে পর্যায়ে পা রাখতে চলেছে, তার সঠিক চিত্রায়ণের জন্য প্রয়োজন ছিল এই ‘শিবের গীত’টির।
কষ্ট করে মনে করতে হবে আজ থেকে কত দশক আগে শেষবারের মতো চোখে পড়েছে, পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে সংসদ সদস্যের ব্রহ্মতালু লক্ষ্য করে ? কত বছর আগে দেখেছেন, মহিলা আন্দোলনকারীদের সন্ত্রম রক্ষার তোয়াক্কা না করেই পুরুষ-পুলিশ তাদের হিড়হিড় টেনে ভুলছে পুলিশ ভ্যানে? কতদিন আগে দেখেছেন কর্তব্যরত সাংবাদিকের কলার ধরে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলছে পুলিশ ?
পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ওপর ভয়ংকর আক্রমণের নজির হিসেবে এতদিন সিদ্ধার্থশংকর রায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বাধীন ’৭২-এর জমানাকে চিহ্নিত করে আসা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী থেকে অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ থেকে সংস্কৃতির ধারক-বাহকরা মেনে নিয়েছেন ওই যুগটি ক্ষণজীবী হলেও ‘কালো যুগ হিসেবে কুখ্যাত।তারপর রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে হাজার বিতর্ক থাকলেও রাজ্য প্রশাসনের গায়ে ‘কালা যুগ’-এর ছাপ পড়েনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আবেগসর্বস্ব রাজনীতি সৃষ্ট ‘ঘরের মেয়ে মমতা’ বেদের মেয়ে জোছনার ধরাচুড়ো ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনটির দখল নেবার পর থেকেই বঙ্গ-রাজনীতিতে ফিরে এসেছে সেই কালা দিন। আরও ভয়াবহ, আরও তীব্র অসহনীয় এবং আরও রক্তাক্ত হয়ে।
শিক্ষকরা মাইনে চাইলে লাঠি খাবেন। সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা চাইলে লাঠি খাবেন। ছাত্ররা ঠিকঠাক ভাবে ক্লাস করতে চাইলে চড়-থাপ্পড় খাবে। পুলিশ গুলি চালিয়ে আঁঝরা করে দেবে সদ্য পাপড়ি মেলা কিশোরের শরীর। হাসপাতালে চিকিৎসকরা মার খাবেন। আদালত চত্বরে আইনজীবীরা মার খাবেন। বিরোধী দলের নেতাদের গাড়ি নিয়ম করে ভাঙচুর করা হবে। এ পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি নেতাদের গাড়ি ভাঙার দিন-তামামি হিসেব করলেই আক্রমণের নজিরটা কোন স্তরের তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। জাতীয়তাবাদী লেখক-শিল্পী- কলাকুশলীদের নামে নিন্দা, তৃণমূলেরই কোনও নেতা বা কর্মী দলের স্বার্থেই সমালোচনা করলে দলীয় সহকর্মীদের হাতেই মার খাবেন। বিরোধীরা কোনও রাজনৈতিক সভা করতে পারবেন না। কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। জনসংযোগের স্বার্থে পাঁচটা মানুষের সঙ্গে বসে চা খেতে পারবেন না। প্রকাশ্যে নানা অছিলায় বিভিন্ন ক্লাব, পুজো সংগঠনগুলিকে সরকারি টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হচ্ছে। আসলে কেনা হচ্ছে ভোট। কিছু বলা যাবে না। বললে মাথায় লাঠি পড়বে। ছাত্র রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরকে গায়ের জোরে অচ্যুৎ করে রাখা হবে। যে কোনো নেতা, কর্মীর টেলিফোন ট্যাপ করবে পুলিশ কোনো কারণ অথবা অজুহাত ছাড়াই। গণমাধ্যমগুলির মাপকাঠিটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন মমতা যিনি মনে করেন—সরকার এবং শাসকদলের পক্ষে থাকতে হবে গণমাধ্যমকে। গণমাধ্যম কর্মীদের। এটা এ রাজ্যের নিয়ম। বেগড়বাই করলেই চাবুকের কষাঘাতে জর্জরিত হতে হবে। এমনকী সাংবাদিকদের মূল সংগঠন কলকাতা প্রেসক্লাবও নিয়ন্ত্রণ করবেন তিনিই। তিনি ঠিক করে দেবেন—ক্লাবে নির্বাচন হবে কিনা। কে হবেন সভাপতি, কে হবেন সম্পাদক। সদস্যপদ পাবেন কারা— তা সে সংবিধানে যাই থাকুক না কেন।
আজ যখন ভারতবর্ষের দিকে দিকে জাতীয়তাবাদের মন্ত্র ছড়িয়ে পড়ছে প্রাচীন মুনিঋষিদের ওঙ্কারধ্বনিকে আধার করে, যখন মানুষ ইংরেজ শাসনের ৩০০ বছরের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের ছায়াপাত আর স্বাধীন ভারতবর্ষের লজ্জাকর ৭২ বছরের ছায়াপথ থেকে বেরিয়ে এসে সত্যিকারের ভারতবর্ষকে চিনতে চাইছে, ফিরিয়ে আনতে চাইছে সেই ঐতিহ্য, সেই ধারাবাহিক সংস্কৃতি আরও উন্নতমানের করে গড়ে তুলে, তখন কিন্তু সেই নবসৃষ্টির কারিগরদের ওপরেও নেমে আসছে। একই কষাঘাত। রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক থাকুক আর নাই থাকুক, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত পর্যায়ে বিরোধ থাকুক আর নাই থাকুক— দেশকে ভালোবাসা যাবে না। দেশকে ভালোবাসার কথা বলা যাবে না। বলতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়। সে ভাষায় যতই নাটুকে আমোদ থাকুক না কেন।
ভাটপাড়া জ্বলছে। প্রতিদিন বোমার ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছে শিশুর, গর্ভবর্তী মায়ের। আমডাঙা জ্বলছে। অশীতিপর বৃদ্ধ রক্তস্রোত দেখে মূচ্ছা যাচ্ছেন। বর্ধমানের গলসীতে লাশ পড়ছে ঘন ঘন। মা বুক চাপড়াচ্ছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া আসানসোল— পুলিশের সামনেই বাড়িতে বাড়িতে আগুন ধরানো হচ্ছে। বিরোধী শিবিরের মহিলাদের চুলের মুঠি, পরনের শাড়ি ধরে টানাটানি করা হয়। যে পুলিশ অফিসার শাসকদলের নেতা-কর্মীদের কোমরে দড়ি পরান, তাকে বদলি হতে হয়। কখনও বা দিনে চারবার। জেলাশাসক বদলে যায় দিনে দুবার-তিনবার। মানুষ আর্তনাদ করে। রানি শোনেন। তিনিও আর্তনাদ করেন— কাটমানি ফেরাও বলে। তিনি আর্তনাদ করছেন কারণ তার ভাঁড়ারে টান পড়েছে। ফলত, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্যশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, মিড ডে মিল, রূপশ্রী রূপ এবং শ্রী দুটোই হারিয়ে হাস্যাস্পদ হয়ে ওঠে। নিম্নমেধার তৃণমূলিরা তখন উল্লাস করেন।
কারণ তারা মনে করেন, চালাকির দ্বারা তারা মহৎ কাজটি করে ফেলেছেন। উচ্চমেধার বিরোধী শিবিরের সামনে হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের একটা অবয়ব ঝুলিয়ে । রেখেছেন। তা না হলে নাৎসি বাহিনীর মতো নিদেনপক্ষে ২৫টা বছর ক্ষমতা আগলে রাখা যাবে না। আর ক্ষমতার গিট আলগা হওয়া মানে জাতীয়তাবাদীদের একত্রিত হওয়া। সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া। অতএব চাবুকটা চালিয়ে যাও। ওটাকে থামানো চলবে না। হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর শকুনির দৃষ্টি ছিল ঘেটোগুলির ওপর। তার কারণ চূড়ান্ত অ্যান্টি সেমিটিজম বা ইহুদি বিদ্বেষ। গল্পে কবিতায় তাই বারবার চিত্রিত হয়েছে জিউ অব মাল্টার বারাবাস বা মার্চেন্ট অব ভেনিসের শাইলকের মতে চরিত্র। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই কখনও কিছুর বিনিময়ে, কখনও স্রেফ ভয় দেখিয়ে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীদেরও কিনে নিচ্ছেন। দখলে রাখছেন যাতে মিথ্যা ইতিহাস লেখা হয় এবং তার জের চলে অন্তত ২৫ বছর। না, মমতার কোনও গোয়েবলস নেই। তিনি নিজেই নিজের গোয়েবলস। আপনার ঢাক আপনি পেটাও’– এই উপদেশামৃতটির অন্তর্নিহিত শক্তিটিকে মমতা ব্যানার্জির মতো সাফল্যের সঙ্গে কাজে লাগাতে পেরেছেন আর কে!
একমাত্র মমতা পেরেছেন, তাই আজও সব মানুষ বিশ্বাস করেন না, পশ্চিমবঙ্গবাসী বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের হাত ধরে উত্তপ্ত বারুদের স্কুপের ওপর বাস করছেন। বিশ্বাস করেন না—অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠেছে দেশি বন্দুক, বোমা, ভোজালি তৈরির গোপন কারখানা। মাওবাদীরা নেই। কিন্তু তাদের ছায়ারা রয়েছেশাসকদলে সেই বন্দুক, সেই এস এল আর নিয়ে। নামটা বদলে গেছে— তৃণমূলি।
এর আগে একমাত্র নকশাল যুগ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ কি কখনো দেখেছে এই ভয়াবহ অরাজকতা মাৎস্যান্যায় ? পশ্চিমবঙ্গ কি কখনো দেখেছে একটি শাসকদলের এমন তীব্র লোভ, উদগ্র কামনা? যেখানে গরিব মানুষের ছেলেপুলেদের মিড ডে মিলের চাল, ডাল, ডিম বেপাত্তা হয়ে চলে যায় শাসকের রান্নাঘরে? দুধের শিশুরা ভাত খায় নুন দিয়ে ?
বামপন্থীদের ৩৪ বছরের শাসনে একটা শব্দ আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসীর ঠোটে ঠোটে ঘুরে বেড়াত-শ্রেণীশত্রু। বামপন্থীরা তাদের। নিকেশ করত, কারণ তারা নাকি গরিবের শত্রু ছিল। আর এখন শ্রেণীশত্রুরাই খাদকের ভূমিকায়। শ্রেণীশত্রু তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বই এখন দিকে দিকে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে মজা লুটতে চাইছে। কারণ তারা জানেন, বুদ্ধিমান সমাজ আবেগে ভেসে ভুল করতে পারে একবার। বারবার নয়। অতএব তাদের আয়ুও সীমিত। সেই সীমিত ক্ষমতায় মধ্যেই শ্রেণীশত্রু তঁার যাবতীয় ক্ষোভ এবং ক্রোধের প্রকাশ ঘটিয়ে ফেলে। এর আরও একটা কারণ- চিরস্থায়ী কিছু করার ক্ষমতা বা মানসিকতা কোনোটাই তার থাকে না। আবার। অন্য কেউ তা করতে পারলে, শ্রেণীশত্রু রেগে যায়। অর্থাৎ মমতা এমন এক শাসক যাঁর ভোজালির দুদিকেই শান দেওয়া থাকে। যেতে কাটেন আসতেও কাটেন। কিন্তু ভুলে যান— ধার পড়ে যাচ্ছে দুদিকেই একসঙ্গে। অচিরেই তার অস্ত্র হয়ে যাবে ভোতা, অকার্যকর। সর্বনাশ সমুৎপন্নে’ সেখানেই। নিম্নমেধার সমস্যাটা সেখানেই। আজ পশ্চিমবঙ্গে এই যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সেখানে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যপালকে আগ বাড়িয়ে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে, শ্রেণীশত্রুর নেতৃত্বের গালিগালাজও শুনতে হচ্ছে।
বিশ্ব-ইতিহাসে কোনও হিটলারই টেকেনি। পশ্চিবঙ্গেও টিকবে না। উচ্চমেধার জাতীয়তা এবং হিন্দু জীবনচর্যার যে স্বাদ ভারতবর্ষের মাটিতে পুনর্জন্ম লাভ করেছে, কোনও অল্পমেধার ঈর্ষা দিয়ে তার ব্যাপ্তি রোখা যাবে না। কোনও রাজনীতি দিয়ে সেই পরশ্রীকাতরতাবিহীন সমাজ গঠনের প্রক্রিয়াকে রোখা যাবেনা। কোনও পেশীশক্তি দিয়ে পরাজিত করা যাবে না দেশপ্রেমের জোয়ারকে। কারণ উচ্চমেধা, মধ্যমেধা ও নিম্নমেধার ফারাকটা থেকেই যায়। মানুষও তফাতটা সহজেই বুঝে যায়। শুধু অপেক্ষার প্রয়োজন হয় মানুষের ঘোর কাটার। যে ঘোর কাটার পর মানুষ বুঝতে পারে—মেয়ের নয়া পরিচয় ফ্লাঙ্কেনস্টাইন আর যার সৃষ্টিকর্তা বাঙ্গালির আবেগ। জাতীয়তার পুনর্দীক্ষায় গোটা রাজ্যটাই উচ্চ মেধা সংস্কৃতির ধারক-বাহক হয়ে উঠবে অচিরেই।
সুজিত রায়
2019-09-16