একুশের নির্বাচনের পূর্বে দেখা গিয়েছিল দলে দলে মানুষ বাংলায় (west bengal) বিজেপির (bjp) দেখা স্বপ্নকে সত্যি করতে, তৃণমূল (tmc) ছেড়ে নাম লিখিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই ২০০-র বেশি আসন নিয়ে, বিজেপির বাংলা জয়ের সব আশা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আবারও বাংলার ক্ষমতায় ফেরে সবুজ শিবির।
আর এই ফল প্রকাশের পর থেকেই কিছুটা উল্টো ঘটনা ঘটতে থাকে বঙ্গ রাজনীতিতে। নির্বাচনের পূর্বে যারা দল বেঁধে বিজেপিতে এসেছিলেন গেরুয়া শিবিরের স্বপ্ন পূরণের কাণ্ডারি হতে, এখন তারাই আবারও তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার তোরজোড় শুরু করেছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই ফিরে গিয়েছেন নিজের পুরনো আস্তানায়, আবার কেউ কেউ নাম লিখিয়েছেন ঘরে ফেরাদের তালিকায়।
তবে ইতিমধ্যেই একুশের নির্বাচনে বিজেপির আসনে জয়লাভ করার পরও, প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর তৃণমূলে অর্থাৎ নিজের পুরনো ঘরে ফিরে গেলেন সপুত্র মুকুল রায়। বিজেপির জয়লাভ করা বিধায়ক পদ না ছেড়েই, তিনি ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। এবার তাঁর পেছন পেছন লাইন দিয়েছেন আরও অনেকেই।
তবে এরই মধ্যে রায়গঞ্জে (Raiganj) কিছুটা অন্য চিত্র দেখা গেল। একদিকে যখন বিজেপিতে ভাঙনের ধারা অব্যাহত রয়েছে, ঠিক তখনই রায়গঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন কয়েকশো মানুষ। রায়গঞ্জের বিধায়ক শ্রী কৃষ্ণ কল্যাণী মহাশয়ের নেতৃত্বে শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন এলাকার কয়েকশো মানুষ। তাঁদের দাবি, মোদীজির হাত শক্ত করতে এবং তৃণমূলের অপশাসনকে দূর করতেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।