আজ থেকে সারা রাজ্যে খোলা হল সরকারি মদের দোকান। নির্দিষ্ট সময়েমের অনেক আগে নন্দকুমারে খুলে দেওয়া হয় একটি মদের দোকান। দোকান খোলার খবর পেয়ে নন্দকুমারের এই দোকানের সামনে বিশাল লম্বা লাইন পড়ে যায়। সামাজিক দূরত্বের কোনো বিধিনিষেধ মানা হয়নি এখানে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয় দোকান। ক্রেতাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয়। নিয়ম ভাঙায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে খোলা হয় মদের দোকান। পূর্ব মেদিনীপুর অবশ্য রেড জোনে আছে। তাই কন্টাইনমেন্ট জোন ছাড়া জেলার বাকি জায়গাগুলিতে মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কখন থেকে খোলা হবে তা কিন্তু না জানানো হয়নি। ফলে সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন মদের দোকানে লাইন পড়ে যায়। কোথাও ইট পেতে আবার কোথাও সরাসরি নিজেরাই দাঁড়িয়ে। অনেক জায়গাতেই লাইনে থাকা সুরাপ্রেমীদেরকে হঠিয়ে দেয় পুলিশ।
সরকারি সময় সীমা সহ কিছু নিয়ম কানুন বেঁধে দেওয়া হয়েছে মদের দোকান খোলার ব্যাপারে। আজ প্রথম দিন বিকাল তিনটে থেকে সন্ধ্যে ছয়টা পর্যন্ত। আগামীকাল থেকে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত। সামাজিক দূরত্ব রেখে মাস্ক পরে দাঁড়াতে হবে ক্রেতাদের। এইসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে আজ সকাল থেকেই নন্দকুমারে মদের দোকানে লাইন পড়ে যায়। দোকান খুলে যায় সকাল দশটায়। বিক্রি শুরু হওয়ার পর লাইন বাড়তে থাকে। কোনও রকম সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না এই লাইনে। কিছুক্ষণ বিক্রির পরে ভিড় সামলাতে না পেরে দোকানদার দোকান বন্ধ করে দিলে ক্রেতারা দোকানের ওপর হামলা চালায়। আবার খোলা হয় দোকান। বিক্রি চলতে থাকে। পরে খবর পেয়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে লাইনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকা সুরাপ্রেমীদেরকে হঠিয়ে দেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান। সরকারি নিয়ম ভাঙ্গার অপরাধে মদের দোকানের মালিক সহ দুজন ক্রেতাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিকেল তিনটের সময় অবশ্য জেলার অন্যান্য দোকানগুলি খুললে সেখানেও লম্বা লাইন চোখে পড়ে। কোথাও টোকেন দিয়ে দেওয়া হয়। আবার কোথাও বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রেতারা। সব জায়গাতেই অবশ্য পুলিশ কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ার পোস্টিং করা হয়েছে নজরদারি রাখতে।