উত্তর প্রদেশের অর্ধেক সংখ্যক আসন হওয়া সত্ত্বেও এই রাজ্যে সাত দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কেন এই সিদ্ধান্ত তাই নিয়েছে উঁকি দিচ্ছে নানা মহলে নানা প্রশ্ন।
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্যেই রাজ্য ৭ দফা নির্বাচন দরকার এমনটাই মনে করে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের মতে সাত দফা ভোট রমজান মাসে পড়ায় অসুবিধায় পড়বে মানুষ। সিপিএম বলেছে ভোট সাত দফা হোক বা পাঁচ দফা কিংবা এক দফা,ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়া প্রয়োজন।
ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে কমিশনে আবেদন করা হবে ভোট প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী এক্তিয়ারে হোক। স্থানীয় পুলিশ যেনো ভোট প্রক্রিয়ায় না থাকে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে বর্তমানে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে ৭ দফা নির্বাচন প্রয়োজন। কারণ যে রাজ্যে জনপ্রতিনিধিদের উপর হামলা হয় সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
অন্যদিকে বিজেপি ও বাম নেতাদের অভিযোগ এই রাজ্যের গনতন্ত্রের হত্যা হয়েছে এযাবতকালে একাধিক বার। বিজেপির রথযাত্রা আটকে গেছে। বামেদের কর্মসূচিতে বাধ সাধা হয়েছে একাধিকবার। শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বললে আক্রমণ নেমে এসেছে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর বলে অভিযোগ করেছেন মোদী, অমিত শাহ থেকে দিলীপ ঘোষ সকলেই। তাহলে কি এই অভিযোগে প্রতিফলনই কি দেখা গেল এই ৭ দফা নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
সাত দফা নির্বাচনে যে রাজ্যের শাসকদল ভালোভাবে নিতে পারেনি তা কলকাতার মেয়রের কথায় স্পষ্ট। তবে তারা রমজানের মাসের কষ্টের বিষয়টিকে ৭ দফা নির্বাচন করার সমস্যা হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছে।
কিন্তু শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশ ও বিহারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেই ৭ দফা ভোট। আর কোনো রাজ্যে এতবেশি দফায় ভোট হবে না। তবে উত্তর প্রদেশে ৭ দফা ভোট হওয়াটা কোনো বড় বিষয় নয় কারণ সবচেয়ে বেশি আসন উত্তরপ্রদেশেই। সেখানে তার অর্ধেক সংখ্যক আসন পশ্চিমবঙ্গে হয়েও সাতদফায় নির্বাচন কেন? তাহলে কি রাজ্যের বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত?