একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে আটের দশকের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করলেন।
তিনি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলায় যা চলছে তেমন আচরণ আটের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে হয়েছিল।” এরাজ্যে প্রথম দু দফায় মোট পাঁচটি আসনে ভোট হয়েছে। দুই দফাতেই রাজ্যের সন্ত্রাসের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। এমনকি নির্বাচনি পরবর্তী হিংসাতেও আক্রান্ত রাজ্য।
তিনি রাজ্যে নির্বাচনে অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কাশ্মীরে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে টাও অবাধ আর শান্তিপূর্ণ ভাবে। লোকসভা ভোটও শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে। হিংসার জন্য শিরোনামে থাকা জম্মু কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে, কিন্তু এরাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না! প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ এর বেশি মানুষ রাজনৈতিক হিংসায় মারা গেছেন।
একদিন আগে পুরুলিয়ায় বিজেপির যুব কর্মীর প্রসঙ্গ তুলে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ আমাদের কর্মীদের হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের ভয় পাওয়াতেই এসব করা হচ্ছে।” নরেন্দ্র মোদী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাতে যেমন ভাবে হিংসাত্মকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমন ভাবেই আটের দশকে কাশ্মীরে হিংসাত্মকদের উৎসাহ দেওয়া হত। আর সেই জন্য কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা এখনো ঘর ছাড়া।
আটের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীরা চরম অত্যাচার করে। খুন, ধর্ষণ রাহাজানি তখন তাঁদের কাছে জলভাতের মত হয়ে গেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এরাজ্যকে আর কাশ্মীর হতে দিতে চাননা বলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।