করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে লকডাউন জারি করলে আগে থেকে জানাতে হবে জনগনকে৷ শনিবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালত মনে করে সাধারণ মানুষকে না জানিয়ে লকডাউন জারি করলে, মানুষের জীবন যাত্রার উপর প্রভাব পড়তে পারে৷ তবে পাশাপাশি বিচারপতি অশোক ভূষণ, সুভাষ রেড্ডি এবং এমআর শাহের বেঞ্চ শনিবার বলেছে, যেসব অঞ্চলে সংক্রমণের হার বাড়ছে সেই সব অঞ্চলে লকডাউন জারি করা বা সিল করা উচিত। প্রয়োজনে সপ্তাহের শেষে বা রাতে কার্ফু জারি করা যেতে পারে। অন্যদিকে শহরে ফের কমেছে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা৷ পাঁচ থেকে কমে এক৷ তার আগে এক থেকে বাড়তে বাড়তে পাঁচ হয়েছিল৷ সেই সংখ্যাটা ফের কমায় স্বস্তি শহরবাসীর৷ এক সময় কলকাতা পুর এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৩৯ এ পৌঁছে গিয়েছিল৷ অনেক এলাকায় কার্যত ঘরবন্দি ছিলেন শহরবাসী৷ সেখান থেকে ধীরে ধীরে তারা মুক্ত হন৷ কারণ কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমতে কমতে মাত্র একটিতে এসেছিল৷ সেখান ফের বাড়তে থাকে৷ নভেম্বরে কলকাতায় ১টি থেকে ৩টি কন্টেইনমেন্ট জোন হয়েছিল৷ সেটা পয়লা ডিসেম্বর আরও বেড়ে পাঁচ হয়েছিল৷ ১৬ ডিসেম্বর বুধবার সেই সংখ্যাটা এক এ নেমে এল৷ কলকাতা পুরসভা সুত্রে জানা গিয়েছে, নতুন কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকার কয়েকটি আবাসন৷ সংক্রমিত এলাকা কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর বোরোর ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালাজি এনক্লেভ ,৮ সানি পার্ক এলাকার একাংশ৷ আগের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে বালিগঞ্জ, ভবানীপুর ও একবালপুরের যে সব এলাকা তা হল কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর বোরোর ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের কয়েকটি আবাসন, রো ল্যান্ড রোডের একটি বাড়ি৷ এছাড়া ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালিগঞ্জ ফাঁড়ির আশুতোষ চৌধুরী অ্যাভিনিউ এলাকার একটি আবাসন৷ কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বোরোর ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে একবালপুরের ডায়মন্ড টাওয়ারের এক অংশের কয়েকটি ফ্ল্যাট৷ তাছাড়া ৮ নম্বর বোরোর ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ভবানীপুরের ৩৮বি এলগিন রোডের কয়েকটি ফ্ল্যাট৷
2020-12-19