ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। গোটা বাংলাজুড়েই সংক্রমণের হার বাড়ছে। এই পরিস্থিতি কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে আরও বেড়েছে লকডাউন। আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। উত্তরের পাঁচজেলাতেও কড়া লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে আজ বৃহস্পতিবার আরও একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যেখানে শিলিগুড়ি কমপ্লিট লকডাউনের কথা বলা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শিলিগুড়িতে কমপ্লিট লকডাউন ৭ দিনের জন্য।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় শিলিগুড়িতে রেকর্ড সংখ্যক করোনা সংক্রমণ হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ সূত্রে যান গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকার ৮২ জনের লালার নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর আগে কখনওই একদিনে এত সংখ্যক মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। এর আগে শহরে সর্বোচ্চ ৫৯ জন একসঙ্গে সংক্রামিত হয়েছিলেন।
কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় এত মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা রুখতে যে সব নিয়ম মানার প্রয়োজন তা মানা হয়নি। মানা হয়নি কোনও সোশ্যাল ডিসটেন্স। যে যার মতো ঘুরে বেড়িয়েছে মানুষ। আর সেই কারণে শিলিগুড়িতে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার পরেই সাতদিনের পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে শিলিগুড়িতে। সকাল ৯টা থেকে শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় লকডাউন কার্যকর হচ্ছে।
রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। তাই নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তী জেলাগুলি নিয়ে তো ভয় রয়েছেই। পাশাপাশি, আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। মঙ্গলবারের ঘোষণা অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোনে ৩ দিন বেড়েছে লকডাউনের মেয়াদ। ১৬ তারিখের বদলে লকডাউন জারি থাকবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত।
এর পাশাপাশি বুধবার থেকে থেকে উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলায়, শহরভিত্তিক লকডাউন শুরু হচ্ছে। লকডাউন কার্যকর হবে জলপাইগুড়ি, মালদা, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়িতে। এই জায়গাগুলিতেও ১৯ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এদিন সকাল থেকে রায়গঞ্জে যে ছবি দেখা গিয়েছে তাতে পরিষ্কার কেউ লকডাউন মানছে না। তবে সাধারণ মানুষকে ঘরবন্দি করতে আইনের পথেই হাঁটতে চলেছে প্রশাসন।