দীর্ঘ প্রায় দুই দশক যাবৎ বাংলা টেলিভিশনের) জনপ্রিয় চ্যানেলে একের পর এক ধারাবাহিকের গল্প লিখে চলেছেন তিনি। তার লেখা গল্প মানেই তা নিয়ে চর্চা হতে বাধ্য। লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্য মানেই তার প্রধান উপাদান হবে যৌথ পরিবার, পারিবারিক মূল্যবোধ, সম্পর্ক। তবে ইদানিং তার লেখার মধ্যে বড্ড বেশি পরকীয়া, কুটকাচালি, একাধিক বিয়ের মতো বিষয় উঠে আসছে।
ইদানিং তাই লেখিকার লেখার মান নিয়ে দর্শক মহলে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে দর্শকের সেই অসন্তোষ স্পষ্টরূপে ধরা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে স্টার জলসার ‘খড়কুটো’, ‘ধূলোকণা’, ‘শ্রীময়ী’, ‘দেশের মাটি’ এবং ‘মোহর’ এর গল্প উঠে আসছে তার কলম থেকে। দর্শকের অভিযোগ, সব ধারাবাহিকেই ঘুরেফিরে একই গল্প লিখে চলেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়র লেখার ধরণ, মান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কম সমালোচনা হয় না। অথচ তার লেখা চিত্রনাট্যের উপর ভর করে একসময় দুর্দান্ত সব ধারাবাহিক উপহার পেয়েছেন দর্শক। দর্শক আজও সেই পুরনো সব ধারাবাহিকের স্মৃতিতে নস্টালজিক হয়ে পড়েন। কিন্তু এখন তাকে এবং তার ধারাবাহিক ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়ে সমালোচনা, ট্রোল, মিম।
এই যেমন সম্প্রতি ‘হুগলি মিমস’ নামের ফেসবুকের একটি মিমারস গ্রুপ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বানিয়ে ফেললো একটি মজার মিম। সেখানে লীনার একটি ছবি তুলে ধরে ছবির উপর তাকে নিয়ে মজা করে লেখা হয়েছে, “ওভাবে হাঁ করে কি দেখছিস? আমিই সেই অস্কার জয়ী লেখিকা, যে সস্তার গাঁজা খেয়ে গল্প লিখি, একটা হিরোর দুটো বউ, একটা বউয়ের চারটে বর, একটা বুড়ির পাঁচটা প্রেমিক, এই সবই আমার লেখা।“
এই মিম সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। যদিও লেখিকা অবশ্য এসব নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে নারাজ। এই নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে একবার সংবাদমাধ্যমের সামনে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, তার দর্শকরা ফেসবুকের ব্যবহার করেন না। কাজেই ফেসবুকে কে কী বলছেন তাতে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না লেখিকা।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন “সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকদের নিয়ে আমি চিন্তিত নই। তাদের মতামতের উপর টিআরপি ও নির্ভর করে না এদের আমি খুব একটা সচেতন দর্শক হিসেবে গণ্য করি না। কারণ এদের মতামতে অনেক সময়ই যথেষ্ট যুক্তির অভাব থাকে।” পোস্টের নিচে জনৈক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “এই’ লেখিকা ‘ আবার বলেন এই সব ট্রল কে উনি নাকি পাত্তা দেন না, আরে ম্যাডাম আপনি পাত্তা কি দেবেন? আপনি নিজেও জানেন মুখ যদি খুলেছেন তাহলে কি অবস্থা হবে আপনার। উপহাসের পাত্র তো হয়েই গেছেন”।