পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন দোরগোড়া কেরল নির্বাচন। সেই উপলক্ষে কেরলের এদিন সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার কেরলের পালাখাদ থেকে বক্তৃতা রাখেন তিনি।
এদিন কেরলের সভায় তিনি বলেন, কেরলের শাসকদল LDF জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকরা করেছে। কিছু সোনার টুকরোর জন্য বিরোধিতা করেছে তারা। “আজ আমি আপনাদের কাছে আশীর্বাদ নিতে এসেছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির হয়ে আশীর্বাদ নিতে এসেছি আমি। আমি এখানে এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছি যা কেরলের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আলাদা। জুডাস যিশুখ্রিষ্টের সঙ্গে কয়েক টুকরো রূপোর জন্য বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। LDF কেরলের সঙ্গে কয়েক টুকরো সোনার জন্য বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।” প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য যে সোনা পাচার চক্র নিয়ে বর্তমানে চলা তদন্ত ছিল, তা বলাই বাহুল্য। এমনকি বিজেপির এই তারকা প্রচারক কেরলে ক্ষমতাসীন LDF এবং বিরোধী UDF জোটের মধ্যে একটি গোপন বোঝাপড়ারও অভিযোগ তুলেছেন।
মোদী বলেছেন, “বহু বছর ধরে কেরলে LDF এবং UDF গোপনে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে রয়েছে। এই প্রথমবার কেরলের ভোটাররা জিজ্ঞাসা করছে এই ম্যাচ ফিক্সিংটা কী? মানুষ দেখছে LDF এবং UDF কীভাবে ভুল পথে চালিত করছে। পশ্চিমবঙ্গে যেমন কংগ্রেস আর বামফ্রন্ট। ওরা দিল্লির UPA-1 জোটের শরিক ছিল। বামেরা কংগ্রসকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু কেরলে তারা একে অপরের প্রতিপক্ষ।” মোদী এও অভিযোগ তুলেছেন এই দুই দলই কেরলের পর্যটনকে উপেক্ষা করছে। তিনি বলেছেন, কেরলের সঙ্গে পর্যটনের গভীর যোগসূত্র রয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় LDF এবং UDF পর্যটনের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কিছুই করছে না। বিজেপি সরকার সড়কপথ প্রভৃতি তৈরি করে যখন পরিকাঠামোর উন্নয়ন করছে তখন তা স্বাভাবিকভাবে পর্যটনকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কেরল বিধানসভার ১৪০টি আসনের মধ্যে ৯১টি তে জয়ী হয় বামপন্থীরা। বিরোধী ইউডিএফ পায় ৪১টি। দুটি যায় অন্যান্যদের দখলে। এবার বিধানসভার ভোটে দেশের একমাত্র বাম শাসিত রাজ্যের সরকার ধরে রাখতে মরিয়া সিপিআইএম।