জলপাইগুড়ি জেলার মাল থানার শাওনগাও মৌজার সোনালী, পার্শ্ববর্তী রূপালী ও গুড হোপ চা বাগান তিনটির মালিকানা ছিল দি গ্রেট গোপালপুর টি কোম্পানীর, শ্রী বি সি ঘোষ তার দুই মেয়ের নামে এই দুই বাগানের নাম রেখেছিলেন। ১৯৭২ সালে কলকাতার ভিকে খেমকা ও কেকে খেমকাকে বাগানগুলি বিক্রি করে দেওয়া হয়। সোনালী বাগানের তখন ৩২ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কের কাছে কর্জ, তাছাড়াও টি বোর্ডে ধার ১৫ লক্ষ, কয়েক লক্ষ টাকা শ্রমিক পিএফ বাবদ জমা বাকি।
১৯৭৩ সালে এই বকেয়া আরও চার লক্ষ বেড়ে গেল। ২৪শে সেপ্টেম্বর পূজার মুখে মাইনে, বোনাস, শ্রমিক রেশন, শ্রমিক কল্যাণ সব বাকি রেখে খেমকারা বাগান ছেড়ে পালিয়ে গেল। ওই একবছরে অপ্রদত্ত শ্রমিক পাওনাই হয়েছিল ৩.৭৫ লক্ষ।
তিনমাস অর্ধাহারে অনাহারে থেকে ১৯৭৩ এর ১০ই ডিসেম্বরে শ্রমিকেরা দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে জলপাইগুড়িতে জেলা প্রশাসনের সাথে দেখা করল। জেলাশাসক সহকারী শ্রম আধিকারিককে দায়িত্ব দিলেন যেন বাগান পরিচালনার ভার শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কর্মচারীদের মধ্যে নির্বাচিত এক কমিটির মাধ্যমে। বাগানের ডিরেক্টর বোর্ড জেলাশাসকের কথা মেনে নিল, কিন্তু একই সাথে সিদ্ধান্ত নিল বাগানের পরিচালনা বা আর্থিক দায় কিছুই তারা নেবে না।
তখন প্রায় অথৈ জলে শ্রমিকরা। দীর্ঘদিনের অযত্নে গাছগুলির অবস্থা ভাল নয়, তা থেকে কি পাওয়া যাবে তা একেবারেই স্পষ্ট নয়, বাগানের পরিচর্চা করার মত আর্থিক অবস্থাও শ্রমিকদের নেই। তারা মালিকদের অনুরোধ করল ফিরে আসতে। কিন্তু তাতে কোন ফল হল না। তখন বাধ্য হয়েই বাগানের দায়িত্ব নিল নয় সদস্যের এক কমিটি।
তখন শীত, পাতা তোলার সময় নয়, কিন্তু বাগানের পরিচর্চা না করলে মরশুমেও পাতা পাওয়া যাবে না। শ্রমিকরা বিনা বেতনেই কাজ শুরু করল। কেউ নেওড়া নদীর ধারে কিছু চাষ করত। বাকিরা জঙ্গল থেকে মূল কন্দ, লতাপাতা যা পেত খেয়ে থাকত। অনাহার অপুষ্টি চারিদিকে। আটজন শ্রমিক সহ কয়েকটি শিশুও মারা যায় বাগানে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল বাগানে কিছু বাঙ্গালী ক্লার্ক থাকলেও শ্রমিকরা সকলেই ছিল, আজও আছে, ওরাওঁ সম্প্রদায়ভুক্ত।
এত অসুবিধা সত্বেও শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যায় যেন গাছগুলি সজীব সতেজ থাকে। ১৯৭৪ সালের মার্চে বৃষ্টি আসতেই পাতা আসে গাছে। সোনালী বাগান ছিল গ্রেট গোপালপুর টি কোম্পানির আউট ডিভিশন, নিজস্ব কারখানা ছিল না তার। শ্রমিকরা সাইকেলে করে অন্য বাগানে কাঁচা চা পাতা বিক্রি করে আসত। সুযোগ বুঝে তাদের থেকে কম দামে পাতা কিনতে লাগল সেই সব বাগান। মে মাসে শ্রমিকদের প্রথম মাইনে দেওয়া হল দীর্ঘ এগারো মাস পর। দিনে ১টাকা ৫০ পয়সা করে। ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলাশাসক, জেলা শ্রমদপ্তর আর সহকারী সমবায় নিবন্ধকের আগ্রহে বাগানের শ্রমিকদের একটি সমবায় সংগঠিত হয়- শাওনগাওঁ চা ও অন্যান্য বাগিচা শ্রমিক সমবায় সমিতি। রেজিস্ট্রেশন নং ৬/৭৪-৭৫।
বাগানের দায়িত্ব নিয়েই এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। অতীতে পুরুষ শ্রমিক আর নারী শ্রমিকদের বেতন এক ছিল না। বলা হত মেয়েরা পরিশ্রম করে কম। দেখা হত না যে পাতা তোলে মেয়েরা। একাজে বিশেষ দক্ষতা না থাকলে কখনোই ভাল মানের চা পাওয়া সম্ভব না। সোনালী বাগানের আদিবাসী শ্রমিকদের কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় এখন থেকে ছেলে মেয়েতে কোন তফাত থাকবে না। সমান মজুরি পাবে দুজনেই। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের সমমজুরি আইন তখনো লোকসভায় আসেনি। আমাদের শ্রমিক আর আদিবাসী ভাইবোনেরা যে গণতন্ত্রকে পথ দেখাতে পারে তার নজীর এই ঘটনা।
৭২-৭৩ সালে যেখানে ৮ লক্ষ কেজি পাতা তোলা হয়েছিল ৭৩-৭৪ সালে হয়েছিল ৬ লক্ষ কেজি। সমবায় সমিতি গঠনের পর প্রথম বছর (৭৪-৭৫) নানা অসুবিধা সত্বেও পাতা ওঠে ৬.৫ লক্ষ কেজি, ৭৫-৭৬ সালে ৭.০৫ লক্ষ কেজি, ৭৭-৭৮ সালে ১০.৪৩ লক্ষ কেজি যা অতীতে কোনদিনই সোনালী বাগান ব্যক্তিমালিকানাধীন অবস্থায় পারেনি।
প্রথম বছর বাগানে ৪০ টন সার ব্যবহার করা হয়, দ্বিতীয় বছর ৩৫ টন। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যোগাযোগ করা হয় এফসিআইয়ের সাথে, টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনকে আহবান জানানো হয় চায়ের উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে। দশ একর নার্সারিতে নতুন চা গাছ লালনপালন করা হয় পুরোনো গাছ প্রতিস্থাপনের জন্য, ১০০ কেজি মনিপুরী ডাংরি চায়ের বীজ কিনে আনা হয় আসামের টেলাকাট চা নার্সারি বাগান থেকে।
আদিবাসী জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত প্রকৃতি। ওরাওঁদের পবিত্র করম পূজা উপলক্ষে বর্ষায় কয়েকশো গাছ লাগানো হয় বনদপ্তরের সহায়তায়।
খেমকারা বাগান ছেড়ে পালাবার সময় বাগানে যে দুটি গাড়ি ছিল নিয়ে চলে যায়। সমবায় সমিতির কর্মীরা কাঁচা পাতা বস্তায় নিয়ে সাইকেলে বিশত্রিশ কিলোমিটার দূরের বাগানে বিক্রি করে আসত। সমবায় সমিতি একটি জিপ কেনে। বাগানের বিকাশের জন্য একটি ট্রাক্টরও কেনা হয়। সমবায় ব্যাঙ্কে সমিতির সঞ্চয় হয় সাত লক্ষ টাকা।
এই সমস্ত সম্ভব হয় সমবায়ের আদর্শ, সমবায়ের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করার ফলে। কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রাথমিক সমস্যা ছিল কিভাবে শ্রমিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অতীতে ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার, বাগানবাবু, মুনশী, দফাদার এই পিরামিডের নিচে কুলিরা কাজ করত। শ্রমিক নিয়ন্ত্রণ শুরু হতেই দেখা গেল সকালে বাঁশীর শব্দ নেই, দফাদারের হাঁকডাক নেই, ভোর হতেই কুলি বা শ্রমিকরা বাগান সাফ করতে নেমে গেছে। শোনা গেল কমিটি যখন তোড়জোড় করছিল, মিটিং করছিল কিভাবে কাজ শুরু হবে তখন মেয়েরা গাছতলায় বসে নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছে কে কোথায় কাজ শুরু করবে, ঘরের মরদদেরও কঠোর বার্তা দিয়েছে তাদের সিদ্ধান্তের। পাতা বিক্রি আর সমবায় সমিতি রেজিস্ট্রেশন হতেই ঠিক করা হয় বর্ষার জন্য ছাতা আর অ্যাপ্রন কেনা হবে, না হলে উৎপাদন বজায় রাখা যাবে না। শিলিগুড়ির বাজার ঘুরে শক্তপোক্ত টেঁকসই ছাতা অ্যাপ্রন কিনে আনে সমিতির কর্মকর্তাসহ শ্রমিক সদস্যরা, তা দেখে অন্য বাগানের ওপরতলার কর্মচারীরা বলতে শুরু করে এমন চললে সব বাগানই সমবায় চাইবে, এত দামী ছাতা অ্যাপ্রন কোন শ্রমিক কখনো পায়নি।
প্রথমদিকে অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। পাতা বিক্রি করতে গেলে অন্য বাগান হুমকি দিয়েছে খেমকাদেরকেই পাতার দাম দেবে বলে, অসহায় পেয়ে দাম কম দিয়েছে। দৈনিক ১ টাকা ৫০ পয়সা পেয়েছে, ২ টাকা পেয়েছে শ্রমিক। তারপর যখন সমবায়ের হাত শক্ত হয়েছে ১৯৭৫ সালে অন্যান্য বাগানের মতই দিনে ৩ টাকা ১২ পয়সা দিয়েছে, ৭৬ সালে ৩ টাকা ৩৭ পয়সা, ৭৭ সালে ৩ টাকা ৮৯ পয়সা। ১৪-১৮ বছরের শিশু শ্রমিকদের ১.৬৫, ১.৭৮, ২ টাকা মজুরি ধার্য করেছে সমিতি। ৭৫ সাল থেকে চালু করেছে বোনাস, নূন্যতম সরকারী হারে, ৭৬ সালে সব বকেয়া পিএফের টাকা কমিশনে জমা করে দেওয়া হয় যা প্রকৃতপক্ষে গ্রেট গোপালপুর কোম্পানী আর খেমকারা খেলাপ করেছিল। শুরু হয় রেশন সাবসিডি, দুপুরে শ্রমিকদের রুটি আর গুড় খাওয়ানো হয় সমিতির খরচে, বিনাপয়সায় চা আর জ্বালানি কাঠ দেওয়া শুরু হয়। মেরামত করা হয় শ্রমিকবস্তির বাড়িগুলি। বাগান বন্ধ থাকাকালীন বাগানের ডাক্তার আর প্রাইমারী স্কুলের টিচারও চলে গিয়েছিল। যদিও চিকিৎসা বা শিক্ষা কিছুই তারা করত না। বাগান চালু হয়েছে দেখে তারা ফিরে আসে। তাদের অতীতের কাজের নিরিখে বেতন কমিয়ে তাদের কাজে বহাল করা হয়। কিন্তু এবারে সমবায় সমিতি নিশ্চিত করে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাধারণ রোগের চিকিৎসা হবে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাওয়া যায় জ্বর আর পেটখারাপের ওষুধ, মহিলা ফেডারেশন থেকে মেলে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট। প্রতিটি শিশুকে স্কুলমুখী করার জন্য সামান্য টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়, শুরু করা হয় বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র। বাগানের ফুটবল দল, বাজনা ও নাচের দল সারা জেলার আদিবাসী সমাজে বিশেষ স্থান করে নেয়। বাগানকে কেন্দ্র করে মেলায় স্থানীয় আদিবাসী ও নেপালী সমাজে এক চাঞ্চল্য, উৎসাহ জন্ম নেয়।
কিন্তু এই বিপুল কর্মকাণ্ডের সম্পাদনায় কোন পেশাদার ম্যানেজারের কোন ভূমিকা ছিল না। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শ্রমিকদের কমিটি বাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পরই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে, সিদ্ধান্ত হয় কোন ম্যানেজার তারা রাখবে না। একবছর পর সমবায় সমিতি যখন দায়িত্বগ্রহণ করে একই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এতে ভয়ানক কোন অসুবিধার সামনে বাগানকে পড়তে হয়নি। কাজের এলাকা, পদ্ধতি সমিতির সভায় আলোচনার আগেই সাধারণ শ্রমিক, বিশেষত মহিলাদের মধ্যে আলোচনা হত, সাধারণ সিদ্ধান্ত উঠে আসত সেখান থেকেই। বাগানে ফাঁকিবাজি বা মদ্যাসক্তি ছিল। কিন্তু অতীতের মালিক ম্যানেজমেন্টের মত প্রথমেই শাস্তির পথে না হেঁটে সভা ডেকে অভিযুক্তকে সংশোধন করার চেষ্টা হত। সমিতির বোর্ড সদস্য দুতিনজনের জন্যও এমন সালিশীসভা, সামান্য শাস্তির ঘটনা ঘটেছিল। আর তা করেছিল আদিবাসী শ্রমিকদের সমবায়, কমিটিতে দ্বিতীয় বছর থেকে ক্লার্কবাবুদের থেকে একজনকেই রাখা হয়েছিল।
এই সমস্ত ঘটনাই ঘটেছিল শ্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন, তাঁর প্রশাসনের উদ্যোগে।
বাগানের বকেয়া ঋণ নিয়ে ১৯৭২ সালেই ইউবিআই একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলায় ১৯৭৬ সালে মালিকপক্ষকে দুলক্ষ টাকা জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু খেমকারা কোন টাকাই জমা দেয়নি। বাগান ভাল চলছে দেখে এবার তারা তোড়জোড় শুরু করে বাগানের দখল নিতে। ১৯৭৭ সালের জানুয়ারী মাসে সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। সমিতিকে নির্দেশ দেওয়া হয় ব্যাঙ্কে পাঁচ লক্ষ টাকা তারা তুলতে পারবে না। কাঁচাপাতা বিক্রির ব্যাপারে অন্য বাগানের সাথে চুক্তিও সমিতি করতে পারবে না।
এরমধ্যে ১৯৭৭এর জুন মাস এসে গেল। বিপ্লবী বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসতেই খেমকাদের সাথে সরকারের, দলের নানা স্তরে আলাপচারিতা শুরু হয়ে গেল। বনমন্ত্রী পরিমল মিত্রকে শেয়ালদা স্টেশনে খেমকাদের থেকে অভ্যর্থনা জানান হল। নিয়ে যাওয়া হল পার্ক হোটেলে। বিপ্লবী কমিউনিস্ট দল ঘোষণা করে দিল সমবায় এক ধরনের ব্যক্তিমালিকানার ব্যাপার, তার সাথে তাদের সাম্যবাদের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ ১৯৭৬ সালের টি অ্যামেন্ডমেন্টকে কাজে লাগিয়ে রুগ্ন চা বাগান অধিগ্রহণ ও সরকারী বা সমবায় প্রথায় চালাবার পূর্ণ অধিকার সরকারের ছিল। সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে করা খেমকাদের মামলা খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টে। কিন্তু পাওনা টাকা ও অন্যান্য মামলায় ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে কোর্ট বাগানের দখল তুলে দিল রিসিভারের হাতে। রিসিভারের নিযুক্ত ম্যানেজার বাগান দখল নিলেও কার্যত সমবায়ের সদস্যরাই তখনো বাগান চালাচ্ছে। এবার ময়দানে নামল সংগ্রামের হাতিয়ার বামফ্রন্ট সরকার। ৭৮ এর পুজোর আগে সামান্য ঘটনাকে ভিত্তি করে চলে এল পুলিশ, চল্ল লাঠি, টিয়ার গ্যাস, গুলি। জামিন যোগ্য ধারায় অভিযোগ দিয়েও গ্রেপ্তার করে জামিন দেওয়া হল না বাগানের কর্মীদের। কার্যত সমগ্র সমবায় সমিতির বোর্ডকেই জেলে পুরে দিল বামফ্রন্টের প্রশাসন। চলল সাসপেনশান, ছাঁটাই। একএকজন সমবায়কর্মী শ্রমিকের বিরুদ্ধে ৭/৮টা করে মামলা দেওয়া হল। দুধ চুরি, কাঠ চুরি, চা পাতা চুরির মামলা, সাথে তো খুনের হুমকি দেওয়ার মামলা, ডাকাতির চেষ্টা এসব ছিলই। ১৯৭৬ সালেই যেখানে সমবায় প্রতিমন্ত্রী শ্রী অতীশ সিংহ ও সমবায় সচিব শ্রী সেনয় ব্যাংকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছিল সমবায় সমিতিকে দায়িত্বে রেখে ধীরেধীরে ঋণ আদায় করার বাম আমলে তার কোন মূল্যই দেওয়া হল না। ব্যাঙ্ক, রাজ্য সরকার, ক্ষমতাসীন দল নিশ্চিত করল যেন সোনালী বাগানের শাওনগাওঁ শ্রমিক সমবায় সমিতির অপমৃত্যু ঘটে।।
অর্ক সেন
তথ্যসূত্র :
এক্সপেরিমেন্ট ইন ওয়ার্কারস ম্যানেজমেন্ট রত্না সেন, ইপিডব্লু আগস্ট ১৯৮৬
আইডিওলজি অ্যান্ড দি কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট সরিৎ ভৌমিক ইপিডব্লু ডিসেম্বর১৯৮৮
মহাশ্বেতা দেবী সম্পাদিত বর্তিকা সোনালী চা বাগান সংখ্যা
রিপোর্ট অফ দি এ.আর.সি.এস জলপাইগুড়ি