২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ কুমারগঞ্জে নির্যাতিতার বাবা-মা ও দাদা।
কুমারগঞ্জ গেলেও নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে হয় জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধিদের।
২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ কুমারগঞ্জে নির্যাতিতার বাবা-মা ও দাদা। রবিবার বেলঘর কাণ্ড খতিয়ে দেখতে কুমারগঞ্জে গেলেও নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে হয় জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধিদের। কিন্তু কোথায় গেলেন তাঁরা? দুশ্চিন্তায় পরিবার।
রবিবার কুমারগঞ্জে যান জাতীয় তফশিলি কমিশনের চার প্রতিনিধি। সকালে প্রথমে গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রামে নির্যাতিতার বাড়িতে যান তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কিন্তু এদিন বাড়িতে গেলেও নির্যাতিতার বাবা-মা ও দাদার দেখা মেলেনি। এরপর তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেখান থেকে পুলিশ ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চার প্রতিনিধি। প্রয়োজনে ডিজিপি থেকে শুরু করে হোম সেক্রেটারি, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সবাইকে তলব করা হবে বলে জানান। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সবরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে। বেঁধে দেওয়া হয় সাতদিনের সময়সীমা।
জাতীয় তফশিলি কমিশনের এরাজ্য ও নর্থ ইষ্ট জোনের দায়িত্বে থাকা ডঃ যোগেন্দ্র পেশোয়ার বলেন, এটি একটি নিকৃষ্টতম ও নিন্দনীয় ঘটনা। তিনজন অপরাধীকে শাস্তি দিতে যা যা আইনি পদ্ধতি আছে তা প্রয়োগ করতে হবে।
তাঁর কথায়, অপরাধী যেই হোক কোনও মুল্যেই যেন সে রেহাই না পায়। রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার তফশীলী জাতি-উপজাতিদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। সেই কারণেই এই ঘটনা।
প্রসঙ্গত, সরকারি সাহায্য আনতে শনিবার বালুরঘাট গিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা ও দাদা। কিন্তু তাঁর পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ফাঁকা বাড়ি। কোথায় রয়েছেন তাঁরা? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। উল্লেখ্য, শনিবার কুমারগঞ্জ গিয়ে নির্যাতিতার বাবা মায়ের দেখা না পেয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন পুলিশ তাঁদের লুকিয়ে রেখেছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সাংসদের উপস্থিতিতে মিসিং ডায়েরিও করেন।