সব্যসাচী দত্তকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দল৷ দাবি তৃণমূলের৷ আসরে ডেপুটি মেয়র তাপস দত্ত৷ তাঁর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো৷ তাহলে সব্যসাচীর জায়গায় তিনিই কী শাসক শিবিরের পছন্দ? এত সহজে জমি ছাড়তে নারাজ বিধাননগরের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী৷ মেয়রের কুর্সিতে বসার ইচ্ছে যে তাঁরও রয়েছে প্রকাশ্যেই সব্যসাচীকে পাশে বসিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছেন৷
মেয়রের পদ নিয়ে আপাতত নজরে বিধাননগর৷ দল চাইলেও ইস্তফা দিতে নারাজ সব্যসাচী দত্ত৷ ফলে দল বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের তরফে৷ নির্দেশ পেয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন ডেপুটি মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ জানিয়েছেন তিনি নিজেই৷ মেয়র আবার দলকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘সময় বলবে পুরনিগমের কতজন কাউন্সিলর আমার পক্ষে৷’’
এদিন বিকেলে নিজের ঘর ছেতে সোজা চেয়ারপার্সনের ঘরে চলে যান মেয়র৷ কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলতে থাকেন, দল দলের হয়ে পদক্ষেপ করবে৷ তবে আপাতত বিধাননগের দায়িত্বে রয়েছেন সব্যসাচী দত্তই৷ এক ফাঁকে তিনি বলে বসেন, বিধাননগরের মেয়র পদে বসার আগ্রহ ছিল তাঁর। এখনও রয়েছে। তবে সবার উপরে দিদি সত্য। তিনি যখন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই মেনে নিয়েছেন তিনি। স্মরণ করিয়ে দেন, ৮০ সাল থেকে দিদি-র সঙ্গে রয়েছেন তিনি। ঘাত প্রতিঘাতের মদ্যেই লড়াই করে এগিয়ে গিয়েছেন৷
কেন হঠাৎ এইসব বললেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সুযোগ পেয়ে নিজের দাবির কথা প্রকাশ্যেই জানিয়ে রাখলেন তিনি৷ কৌশলে জানাতে চাইলেন বাম আমলে রাজারহাটের চেয়ারম্যান মেয়র পদের জন্য দলেরই এক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অতি সক্রিয় হলেও তাতে সায় নেই বিধাননগরের পুরনো তৃণমূলী বলে পরিচিত কৃষ্ণার৷
এছাড়াও, বিধাননগরের চেয়ারপার্সন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে তাঁর পরিচিতি প্রায় প্রায় চার দশকের৷ দলে সুজিত বা সব্যসাচীর চেয়ে ঢের পুরনো তিনি৷ আগের বোর্ডের প্রধান হওয়ার কারণে তাঁর অভিজ্ঞাতাও রয়েছে৷ ফলে সব্যসাচীর বদলে যেন তাঁর কথাও বিবেচনায় আনা হয়৷
মমতা ঘনিষ্ট কৃষ্ণার এই কৌশলী বার্তায় শাসক শিবিরে জোর গুঞ্জন৷ চেয়ার একটা৷ দাবীদার বহু৷ যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই এখন চলছে দড়ি টানাটানি৷