পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির প্রার্থী শকুন্তলা হালদার (Shakuntala Halder) এবং তাঁর স্বামী চন্দ্র হালদারকে (Chandra Haldar) পশ্চিমবঙ্গের কুলতলীতে ৬ ই এপ্রিল নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্ত্রী ও স্বামী যাঁরা দুজনেই সক্রিয় বিজেপি সদস্য ছিলেন । তাঁদের বর্বর হত্যার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর মহকুমার কুলতলীতে ৬ ই এপ্রিল মধ্যরাতে ঘটে।
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা ও হত্যার ঘটনা করোনা ভাইরাসের (Corona virus) কারণে লকডাউন (Lockdown) সত্ত্বেও অব্যাহত রয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, স্থানীয় একটি ইস্যু নিয়ে টিএমসির কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আরও এক সদস্যকে আক্রমণ করেছিল।
গত সপ্তাহে টিএমসির নেতা প্রসূন ভৌমিক হুমকি দিয়েছিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর সংহতির আবেদনে, ৫ ই এপ্রিল রাত নটায় যে সমস্ত বাড়িগুলি অন্ধকার করে প্রদীপ বা দীপ প্রজ্জ্বলন করবে, সেই সমস্ত বাড়ি চিহ্নিত করা হবে।
বাংলা ভাষায় একটি ফেসবুক পোস্টে ভৌমিক লিখেছিলেন, “যারা 5.4.20 তারিখ রাত 9 টায় যারা বাড়ির আলো নেভাবে, … তাদের বাড়িঘর চক দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। না হলেও, তাদের ঠিকানাগুলি একটি তালিকায় উঠবে“। বিজেপি (BJP) এই হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং অভিযোগও দায়ের করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি রাত ৯ টায় ঘুমোতে পছন্দ করবেন।
পশ্চিমবঙ্গেও কারোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যার প্রকৃত তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। কোভিড ১৯-এ মারা যাওয়া রোগীদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরিবর্তে একটি কমিটি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এবং তারপরে একটি ডেথ সার্টিফিকেট জারি করবে । এটিই রাজ্য সরকারী আদেশ।
রিপোর্টে দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১১ জন কোভিড ১৯ সংক্রমণে মারা গিয়েছে, তবে সরকারী গণনাটি ৩ অধিক বৃদ্ধি পায় নি।