কোনওধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া আগামী কয়েকদিন বড়দিন এবং বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষ্যে শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। লালবাজার সূত্রে খবর , মঙ্গলবার থেকেই প্রতিবারের মতাে এবারও কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হচ্ছে কলকাতার পার্কস্ট্রিট চত্বর সহ ধর্মতলা , ইএম বাইপাস , ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়াল, চিড়িয়াখানা, বিড়লা তারামণ্ডল , যাদুঘর সহ শহরের দর্শনীয় স্থানগুলােতে। লালবাজার আরও জানিয়েছে, আজ সােমবার লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নতুন ৬৭টি অত্যাধুনিক গাড়ি ও মােটরবাইকের উদ্বোধন করবেন। সেগুলিও ব্যবহৃতহবে মহিলাদের নিরাপত্তা দেবার ক্ষেত্রে। বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবেও এই গাড়ি ও মােটরবাইকগুলােকে বাহিনী নিজের কাজে লাগাবে ।
বড়দিনের সকাল থেকে কার্যত ভাের রাত পর্যন্ত পার্কস্ট্রিট সহ কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চলে চলবে পুলিশের কড়া নজরদারিতে । সারাদিন যেমন তেমন , বিকেলের পর থেকে পার্কস্ট্রিটের জনপ্লাবন সামলাতে তৎপর থাকবে । মহিলাদের নিরাপত্তার দিকটাও যাতে বিঘ্নিত না হয় তাতেও বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে পুলিশ। শহরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মতাে পার্কস্ট্রিটের ব্যাপক ভিড়ে অবাঞ্ছিত ইভটিজারদের শায়েস্তা করতে যেমন কলকাতা পুলিশের বিশেষ প্রমীলা বাহিনী ‘ দ্যা উইনার্সের ওপর দায়িত্ব থাকবে । তেমনই কলকাতা বিশেষ অ্যাপ ‘বন্ধু’র মাধ্যমেও মহিলারা যাতে দ্রুত পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । ওই অ্যাপ ‘ প্যানিক বাটন ’ মােবাইল ফোনে প্রেস করলেই সরাসরি ১০০ ডায়ালে ফোন চলে যাবে । যে ফোন করবে তার লােকেশন পেয়ে যাবে কন্ট্রোলরুম । এর ফলে বিপদগ্রস্ত মহিলা বা ব্যাক্তির কাছে দ্রুত পৌঁছতে পারবে পুলিশ । এছাড়াও উৎসবের দিনগুলােতে পুলিশ সাদা পােশাকে এক মাথা থেকে অন্য মাথাতে চষে বেড়ায় ।
শুধু ইভটিজিংই নয়, পুলিশের নজর থাকবে যাতে ভিড়ের মধ্যে কোনওরকম অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে । সন্ধ্যের পর থেকেই পার্কস্ট্রিটের হােটেল এবং বারে পুলিশের বিশেষভাবে নজর থাকবে । আগেভাগেই বসানাে হয়েছিল ওই এলাকায় অতিরিক্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও বসানাে হচ্ছে । পাশাপাশি তৎপর থাকবে পার্কস্ট্রিটে অস্থায়ী রূপে তৈরি হওয়া ওয়াচ টাওয়ারে বাইনােকুলার নিয়ে মােতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও ড্রোনও থাকবে ওপর থেকে নজরদারির জন্য। এর পাশাপাশি ছিল রিজার্ভ ফোর্স, কুইক রেসপন্স টিম , এইচআরএফএস মােতায়েন থাকবে । মাদক ও বেআইনি মদ রুখতে তৎপর থাকবে রাজ্য আবগারি দফতর ও কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি নারকোটিক সেল এবং নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরাের মতাে সংস্থাগুলাে। জনস্রোত সামাল দিতে সন্ধ্যের পর থেকে ভাের রাত পর্যন্ত পুলিশকে কার্যত হিমসিম খেতে হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য , গত শুক্রবার বিকেল থেকে বড়দিন উপলক্ষ্যে কলকাতা পুলিশের বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে অ্যালেন পার্কে।