রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। চলছে জোর প্রস্তুতি। এরই মধ্যেই কি কলকাতায় পুরভোট? তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে যে, মার্চের শেষে হতে পারে কলকাতা পুরভোট। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দেড়মাসের মধ্যেই হতে পারে ভোট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এমনটাই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। তালিকা পুরভোট উপযোগী করতে আরও ১ মাস সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে। রাজ্যের সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে বিস্তারিত ভাবে জানাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনটাই সুত্রে জানা গিয়েছে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যকে পুরসভার ভোটের নির্ঘন্ট জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা উত্তীর্ণ হচ্ছে। সেদিনই পুরভোট করানো নিয়ে রাজ্যের দেওয়া তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জানাবে কমিশন।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদ কুমার সিং। সেই মামলায় ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যকে পুরসভার ভোটের নির্ঘন্ট জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা উত্তীর্ণ হচ্ছে।
সেদিন এই সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জানিয়ে রাজ্য সরকার ‘সময়’ চেয়ে নিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারন করোনা পরিস্থিতিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ রাজ্যের বাকি ১১০টি পুরসভার নির্বাচন কোনও মতেই বিধানসভা ভোটের আগে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টে পুরভোট নিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুনানিতে এমনই অবস্থানের কথা জানাতে চলেছে রাজ্য সরকার। এমনটাই সুত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। তবে তার আগেই উত্তপ্ত বাংলা। ক্রমশ বাড়ছে সংঘর্ষ, উত্তেজনা। গত কয়েকদিন আগে বাংলায় সভা করতে এসে আক্রান্ত হতে হয়েছে খোদ বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতিকেও। তাঁর কনভয় টার্গেট করে ছোঁড়া হয়েছে ইট।
এই অবস্থায় বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। এই আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আজ মঙ্গলবার কমিশনের দফতরে দেখা করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধিদল এদিন কমিশনে যান।
ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সম্পাদক সব্যসাচী দত্ত, বিজেপি নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক শিশির বাজোরিয়া। তারা রাজ্যের পরিস্থিতি অবস্থা নিয়ে একটি চিঠি দেন কমিশনে। যেখানে দ্রুত বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।