রাজ্যে করোনায় নতুন সংক্রমণ পৌঁছে গেল প্রায় সাড়ে ৮ হাজারের কাছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪১৯ জন। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২৭-এ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৯৭ জন। এই একই সময়ে কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৯৭ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬০।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি টিকা, ওষুধ ও অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর চাপ বাড়ছে। রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪৯ হাজার ৬৩৮-এ। একদিনে সক্রিয় রোগী বেড়েছে সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। শনিবারের তুলনায় সংখ্যাটি সামান্য কম। এই একই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৪টি নমুনা, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি সংক্রমিত। সেই কারণেই সংক্রমণের হার পৌঁছে গিয়েছে ১৮.২৭-এ।
জেলার ভিত্তিক সংক্রমণের হিসাবে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় নতুন সংক্রমণ পৌঁছে গিয়েছে ২ হাজার ১৯৭-এ। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে নতুন সংক্রমণ ১ হাজার ৮৬০। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০১। তারপরেই রয়েছে হাওড়া, সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯০ জন। অন্য জেলাগুলির মধ্যে হুগলি (৩৫২), বীরভূম (৪৭১), পশ্চিম বর্ধমান (৩৮৯), মালদহে (৩৮৮) উল্লেখযোগ্য ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কয়েকদিন টিকাদানের হার কম থাকার পর শুক্রবার থেকে ফের সেই হার বৃদ্ধি পায়। তবে শনিবার টিকার হার সামান্য কমেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে রাজ্যে শনিবার টিকা দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৬৮ জনকে। মোট টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৩-এ।