শহরে ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ৷ জেলা ভিত্তিক সংক্রমণের তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে কলকাতা৷ তা স্বত্বেও শহরবাসীর একাংশের মধ্যে করোনা বিধি না মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছ৷ পিছিয়ে নেই মৃত্যুতেও, সেই তালিকায়ও প্রথম স্থান ধরে রেখেছে শহর কলকাতা৷
বৃহস্পতিবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বুধবার এি সংখ্যাটা ছিল ১৮ জনে৷ সব মিলিয়ে কলকাতায় করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১,৮২৮ জন৷ গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় ৭৬৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ বুধবার ছিল ৭৫৮ জন৷
একসময় এই সংখ্যাটা সাড়ে পাঁচশত তে নেমে এসেছিল৷ কিন্তু পুজোর মুখে সেই সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে ফের ৮০০ এর কাছাকাছি৷ সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত শহরে মোট করোনা আক্রান্ত ৬২ হাজার ১৩১ জন৷ শহরে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটাও বাড়তে বাড়তে ৬ হাজার ছাড়াল৷
তথ্য অনুযায়ী কলকাতায় মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্তে সংখ্যা ৬,২৫৮ জন৷ বুধবারের তুলনায় ১১০ জন বেশি৷ তবে কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৪৪ জন৷ এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫৪ হাজার ৪৫ জন৷
কলকাতা ছাড়া আর যে সব জেলায় করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তা হল –
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি ও দুই মেদিনীপুর৷ সংক্রমণ ও মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা৷ তৃতীয় স্থানে হাওড়া৷ কলকাতা থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনা৷ এখানে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৭১৭ জন৷ তার ফলে এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ হাজার ৮১ জন৷
একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের৷ এই পর্যন্ত এই জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১,২২২ জন৷ অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা মোট ৬,২৩৫ জন৷ তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪৯ হাজার ৬২৪ জন৷ স্বাস্থ্য দফতের এই তথ্য থেকেই পরিস্কার, করোনায় সংক্রমণ ও মৃতের দিক থেকে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগানার অবস্থা ভয়ঙ্কর৷
এছাড়া দুই জেলাতেই পুজোর বাজারে বাড়ছে ভিড়৷ বিশেষ করে কলকাতায়৷ তার ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতের৷ তার উপর যদি পুজো পরিক্রমায় দর্শনার্থীরা করোনা বিধি না মানে,তাহলে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়া হতে পারে৷
অন্যদিকে এদিনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় একদিনে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তবে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৪৩৯ জন৷ একদিনে যে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতার ১১ জন৷
উত্তর ২৪ পরগনার ১৬ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৫ জন৷ হাওড়ার ৬ জন৷ হুগলির ৩ জন৷ পশ্চিম বর্ধমান ১ জন৷ পূর্ব বর্ধমান ১ জন৷ পূর্ব মেদিনীপুর ৩ জন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ৫ জন৷ পুরুলিয়া ২ জন৷ নদিয়া ৩ জন৷ মুর্শিদাবাদ ১ জন৷ জলপাইগুড়ি ৩ জন৷ কোচবিহার ১ জন৷ আলিপুরদুয়ার ২ জন৷