শহর কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে হল মাত্র ১৭৷ এক সময় এই সংখ্যাটা ৩৯ এ পৌঁছে গিয়েছিল৷
পাশাপাশি একদিনের হিসেবে শহর কলকাতায় কমেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা৷ কমেছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাও৷
কনটেনমেন্ট জোনের নতুন তালিকায় উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকা রয়েছে৷ এখানকার তিন নম্বর বোরোতে নতুন করে ২টি কনটেনমেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে৷ কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাগান এলাকার মতিলাল বসাক লেন৷
এবং ৭১/৩ ক্যানাল সার্কুলার রোড ওড়িয়েন্ট এলাকা৷ ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৯৮বি সুরেন সরকার রোড এর মনসা মন্দির শিতলা সংঘ৷ ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বারোয়ালীতলা রোড৷ ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ বেলিয়াঘাটা মেইন রোড। এছাড়া চার নম্বর বোরোর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুগল কিশোর দাস লেন এর আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা৷
দক্ষিণ কলকাতায় নতুন কনটেনমেন্ট জোন হল- ৮ ও ১০ নম্বর বোরোর ৬৯ এবং ৯১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা৷ এর মধ্যে রয়েছে বালিগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা ও জহুরা বাজার লেন৷ এছাড়া ৯ ও ১৬ নম্বর বোরোর ৭৭,৮২ এবং ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা নতুন কনটেনমেন্ট এর তালিকায় রয়েছে৷ বিশেষ করে চেতলা ও খিদিরপুর এলাকা৷
আরও এক দিকে কলকাতাবাসীর জন্য স্বস্তির খবর , অনেক দিন পর একদিনে মৃতের সংখ্যা ১০ এর নিচে নামল৷ কমেছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাও৷
রবিবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতাতে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৮ জন৷ শনিবার ছিল ১২ জনে৷ তার আগে শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ২২ জনে৷ তবে শুধু কলকাতাতেই এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১,১৭৪ জনের৷
পাশাপাশি একদিনে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটাও কমেছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় ২০ জন কমে মোট সংখ্যাটা ৬ হাজারের নিচে নেমে এল৷ তথ্য অনুযায়ী,৫,৮৯০ জন৷ শনিবার ছিল ৫,৯১০ জন৷ শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ৬,১১৪ জন৷ অর্থাৎ কলকাতায় প্রতিদিনই কমছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা৷
এছাড়া শহরে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৩ জন৷ শনিবার ছিল ৫১৬ জন৷ শুক্রবার ছিল ৪৬২ জন৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৫৮৩ জন৷ ফলে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৩৬ হাজার ২৫৭ জন৷
কলকাতায় একদিনেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন ৫৭৫ জন৷ এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ হাজার ১৯৩ জন৷
শনিবার আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ৭০৮ জন৷ শুক্রবার ছিল ৫৬৪ জন৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৭৫৫ জন৷ মোট সংখ্যাটা ছিল ২৮ হাজার ৬১৮ জন৷ প্রতিদিনই কমছে আক্রান্তের সংখ্যা৷