শহরে ফের বাড়ছে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা৷ এক থেকে বেড়ে হল তিন৷ ফলে উদ্বেগ বাড়ছে শহরবাসীর৷ রাজ্যের আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় এখনও শীর্ষে কলকাতা৷
এক সময় কলকাতা পুর এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৩৯ এ পৌঁছে গিয়েছিল৷ অনেক এলাকায় কার্যত ঘরবন্দি ছিলেন শহরবাসী৷ সেখান থেকে ধীরে ধীরে তারা মুক্ত হল৷ কারণ কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমতে কমতে মাত্র একটিতে এসেছিল৷ ফের সেই সংখ্যাটা বাড়তে শুরু করেছে৷ এক থেকে বর্তমানে তিনটি কন্টেইনমেন্ট জোন শহরে৷
কলকাতা পুরসভা সুত্রে জানা গিয়েছে, নতুন কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে, গিরিশ পার্ক,টালিগঞ্জ ও ক্ষুদিরাম পল্লী শখের বাজার এর কিছু এলাকা৷
কলকাতা পুরসভার গিরিশ পার্ক এলাকায় একটি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে৷ এটি পুরসভার চার নম্বর বোরোর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ – ২১ উমেশ দত্ত লেন৷ এখানকার মিক্সড এলাকায় সংক্রমণ রয়েছে৷
এছাড়া পুরসভার ৮ নম্বর বোরোর ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের টালিগঞ্জের ১৩৫সি,এস পি মুখার্জি রোড৷ এখানকার একটি কমপ্লেক্স এলাকায় সংক্রমণ রয়েছে৷
অন্যটি হল পুরসভার ১৬ নম্বর বোরোর ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম পল্লী শখের বাজার৷ এখানকার ক্ষুদিরাম পল্লী,মনসাতলার একটি বস্তি এলাকায় সংক্রমণ৷
শহর কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ফের বাড়ল৷ এক থেকে বেড়ে হল তিন৷ এর আগে ৮ থেকে কমে সংখ্যাটা মাত্র একে এসেছিল৷ তারও আগে ১১ থেকে কমে হয়েছিল ৮ ৷ আর ১৭ থেকে কমে হয়েছিল ১১৷ এক সময় কলকাতায় ৩৯ টি কন্টেইনমেন্ট জোন ছিল৷
কিছুদি আগে তিন নম্বর বোরোর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭১/৩ ক্যানাল সার্কুলার রোড সংক্রমিত এলাকা ছিল৷ এছাড়া ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার বারোয়ারি তলা রোড৷ এর মধ্যে একটি কমপ্লেক্স অপরটি ছিল মিক্সড এলাকা৷ নতুন কন্টেইনমেন্ট জোন এর তালিকা থেকে এই এলাকাও বাদ গিয়েছে৷
কলকাতা পুরসভার চার নম্বর বোরোর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুগল কিশোর দাস লেন (আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা)৷ এখানকার মাল্টিপল প্রেমিসেস এলাকা সংক্রমিত ছিল৷ এখন কন্টেইনমেন্ট জোন মুক্ত৷
এছাড়া ৯ নম্বর বোরোর ৭৭,৮২ নম্বর ওয়ার্ড ৷ ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলা লেন( খিদিরপুর এলাকা)৷ ১,সবজি বাগান লেন৷ এবং চেতলা রোড (১৩বি এবং সি)৷ এর মধ্যে চেতলায় একটি বস্তি এলাকা এবং খিদিরপুরের মিক্সড এলাকায় সংক্রমণ ছিল৷ এটাও কন্টেইনমেন্ট জোন মুক্ত৷
কলকাতা পুরসভার ১৬ নম্বর বোরোর ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭/৬এ থেকে ৮২/১১ সিস্টার নিবেদিতা রোড৷ এবং বড়বাগান সি৫+ডি৫ বিদ্যাসাগর সরণি ও ২৩/২ সুকান্ত সরণি (বড়িশা এলাকা)৷ মাল্টিপল প্রেমিসেস এলাকা৷ নতুন কন্টেইনমেন্ট জোন এর তালিকায় নাম নেই৷
কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি কলকাতা এখনও রাজ্যের আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে৷ তবে মাঝে মাঝে একদিনে নতুন আক্রান্তের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন৷
বৃহস্পতিবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের৷ বুধবার ছিল ১৫ জন৷ একদিনের হিসেবে শহরে মৃতের সংখ্যা ফের বাড়ল৷ শহরে মোট মৃতের সংখ্যা ১,৫৩৭ জন৷
শুধু কলকাতাতেই এই পর্যন্ত আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৫৭৭ জন৷ গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৫ জন৷ বুধবার ছিল ৪৭৪ জন৷ তবে এদিন নতুন আক্রান্তের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷
শহরে একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৭৬ জন৷ বুধবার ছিল ৫০৭ জন৷ সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২ হাজার ৮০২ জন৷ এই মূহুর্তে শুধু কলকাতায় অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা ৪ হাজার ২৩৮ জন৷ বুধবারের তুলনায় ২৩ জন কম৷