সোনা পাচারের অভিযোগে পলাতক ব্যবসায়ী সঞ্জয় আগরওয়ালকে গ্রেফতার করল ইডি। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার সোনা এনেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে। ইডি কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর কলকাতার বাড়িতে এর আগেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ না করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে মহালক্ষ্মী কর্পোরেশনের ৪২.৩৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ১৬৪ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগ ছিল। ঋণ নিয়ে অন্য জায়গায় টাকা খাটিয়ে ঋণ পরিশোধ করেননি ওই ব্যবসায়ী, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালে মামলা রুজু করেছিল সিবিআই। তার ভিত্তিতেই ইডিও মামলা রুজু করে।
গত সোমবারই কয়লাপাচার কাণ্ডে মূল চক্রী অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিনয় মিশ্র ও বিকাশ মিশ্রর ৯.২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমি, গাড়ি, বেনামে থাকা সম্পত্তি ও কারখানাও রয়েছে। তদন্ত শুরু করার পর কয়লাপাচার কাণ্ডে বড় অঙ্কের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইডির তরফে। এর আগে বিনয় মিশ্রের বাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট সাড়ে ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পিএমএলএ অ্যাক্টে বাজেয়াপ্ত করা হয় এই সম্পত্তি ও টাকা। আরও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। বিনয় মিশ্রকে বারবার তলব করার পরেও হাজির না হওয়ায় এই প্রক্রিয়া। এর আগে কলকাতায় বিনয় বিকাশের কোটি টাকার বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে প্রতি বছরই বড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেন ইডি আধিকারিকরা। চলতি মাসেই একের পর এক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করেছে ইডি। জাল ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা দিয়ে জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শহরের এক বড় ব্যবসায়ীকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের থেকে এত মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেখানে জাল নথি জমা দেন। পরে সেই টাকা আর শোধ করেননি তিনি। সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
প্রাথমিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু যেহেতু এটি আর্থিক তছরূপের মামলা, তাই ইডি তদন্তভার হাতে নেয়। তারপর রাজ্যের ৬ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ২০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। ১৯ নভেম্বর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ভুয়ো জিএসটি ইনভয়েস তৈরি করে কর ফাঁকি দিতেন তাঁরা।