করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ সৎকার নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা৷ সোশ্যাল মিডিয়া ও পুরসভার ওয়েবসাইটে অফিসারদের মোবাইল নম্বর শেয়ার করল তারা৷ পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে করোনায় কেউ মারা গেলে তাঁর শেষকৃত্য করার জন্য কাউকে কোনও অর্থ দিতে হবে৷
জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে পরিবারকে। অভিযোগ, সৎকারের জন্য কারও কাছে ১০ হাজার, কারও কাছে ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। তাই সৎকারের ব্যবস্থার জন্য বোরো ভিত্তিতে তিনটে ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব দে্ওয়া হয়েছে আধিকারিকদের। প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইটে৷
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বরো ১ থেকে ৫ ও সল্টলেক পুরসভার দায়িত্বে থাকবেন ডেপুটি সিএমএইচ ডাঃ বাসুদেব মুখোপাধ্যায় (৯৮৩০০৬২১৫০)। বরো ৬ থেকে ১০ নম্বরের দায়িত্ব পড়েছে এক্সিকিউটিভ হেল্থ অফিসার ডাঃ উৎপল কাঞ্জির (৯৮৩০০২২০০৬) উপর। বরো ১১ থেকে ১৬ নম্বরের ওয়ার্ডগুলি কোভিড দেহ সমন্বয় করবেন এক্সিকিউটিভ হেল্থ অফিসার ডাঃ সুব্রত মৌলিক (৯৮৩০২৮৪৭২৯)। এছাড়াও শববাহী যান কো-অডিনেটর- ৯০০৭৬১৫৮৭৩/ ৭৯০০১৫৫৮০৫ (সোমনাথ) ও ৭৯৮০৪৮৮৯০৯ (দীপক)। পুরসভার তরফে একজন কোভিড কো-অর্ডিনেটরও নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর ফোন নম্বর হল–৯৮৩০২৪১৬৬০। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, দেহ দাহ করতে শুধু ডেথ সার্টিফিকেট রাখুন।
পুরসভার নির্দিষ্ট রেট হিসাবে হাসপাতাল থেকে দেহ ধাপায় পৌঁছে দিতে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। এছাড়া পুরোটাই বিনাখরচে হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি বাঁশদ্রোণীর এক বৃদ্ধের করোনায় মৃত্যুর পর ধাপায় দেহ দাহর সময় মেয়ের কাছ থেকে তিনদফায় সতেরো হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে পুরসভায়। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় শহরে। পুরকমিশনার বিনোদ কুমার তদন্ত শুরু করেন। রাজ্যের পুরসচিব খলিল আহমেদ সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠিয়ে ধাপায় দশ হাজার টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে এক পুরকর্মীকে গ্রেফতার করান। তাদের এই উদ্যোগে এবার ঘুষ নেওয়া বন্ধ বলে দাবি পুর কর্তপক্ষের৷
এদিকে, কলকাতা ও গ্রামীণ এলাকায় ৪৬৬জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। কলকাতা ১২৬ গ্রামীণ এলাকায় ৩৪২জন আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হল।