আহারে পশ্চিমবঙ্গ ! অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকে সন্ত্রাসবাদী হয়ে গেলো বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু!

স্বাধীনতা আন্দোলনে সবথেকে কনিষ্ঠতম বিপ্লবী ছিলেন শহীদ ক্ষুদিরাম বসু। যেই সময়ে আমরা মোবাইল আর ইন্টারনেট নিয়ে ব্যাস্ত, সেই সময় দেশ স্বাধীন করার সংকল্প নিয়ে ইংরেজদের চোখে চোখ লাগিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন মেদিনীপুরের কিশোর ক্ষুদিরাম বসু।

ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি বিপ্লবী যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসন এর বিরোধিতা করেছিলেন। ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে গাড়িতে ব্রিটিশ বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড আছে ভেবে তাকে গুপ্তহত্যা করার জন্যে বোমা ছুড়েছিলেন। যাইহোক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন, যে ঘটনার ফলে দুজন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়। প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হন এবং দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্যে তাঁর বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়।

ফাঁসি হওয়ার সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর, ৭ মাস এবং ১১ দিন, যেটা তাঁকে ভারতের কনিষ্ঠতম ভারতের বিপ্লবী করেছিল। মহাত্মা গান্ধি হিংসাকে নিন্দা করেন, দুজন নিরপরাধ মহিলার মৃত্যুতে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, ‘ভারতীয় জনগণ এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবেনা।” যাইহোক, বাল গঙ্গাধর তিলক, তাঁর সংবাদপত্র কেশরীতে দুজন নবীন যুবককে সমর্থন করে আওয়াজ তোলেন অবিলম্বে স্বরাজ চাই। যার ফল হয় অবিলম্বে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার দেশদ্রোহিতার অপরাধে তিলককে গ্রেপ্তার করে।

এবার সেই বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দেখাচ্ছে অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যবই। এই ঘটনা সামনে আসার পর বাম বিধায়ক বিধানসভার স্পীকারের কাছে এই বিষয়ে একটি প্রতিলিপি জমা দেন। এরপর এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা ভুল হয়েছে, সংশোধন করার জন্য পাঠানো হয়েছে আমরা দু:খিত। যাতে এমন ভুল না হয় তা দেখা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.