আগামী ২৬ মার্চ দু’দিনের সফরে ঢাকা যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের গায়ে থাকবে ‘খাদি মুজিব জ্যাকেট ‘।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠানে থাকা সকল অতিথিদের গায়ে শোভা পাবে খাদির তৈরি এই ‘মুজিব জ্যাকেট’।এমনকি যে আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন, তাঁরা এই জ্যাকেট পরে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।২০১৬ সালে গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়া রাষ্ট্রনেতারা খাদির জ্যাকেট পরেছিলেন। এবার মোদির বাংলাদেশ সফরেও আকর্ষণের কেন্দ্রে আছে খাদির এই জ্যাকেট।
২৬ ও ২৭ তারিখ দুদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে থাকার কথা। তার আগেই খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের পক্ষ থেকে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনে ১০০টি ‘মুজিব জ্যাকেট’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশে ‘মুজিব জ্যাকেট’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছে এই জ্যাকেট বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের আদর্শের প্রতীক। নতুন প্রজন্মের কাছেও ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুজিব জ্যাকেট।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই খাদির জ্যাকেট পরার জন্য বিখ্যাত। ভারতে ‘মোদী জ্যাকেট’ বেশ জনপ্রিয়।
খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরাবরই বিদেশ সফরে খাদিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। তিনি বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় সঙ্গে রাখেন খাদির তৈরি রুমাল এবং তা উপহার হিসেবেও দেন। মুজিব জ্যাকেট বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় এই খাদির জ্যাকেট পরা হবে। খাদির সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর বাংলাদেশ সফরে খাদির মুজিব জ্যাকেট ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে এবং কূটনৈতিক মহলে খাদিকে তুলে ধরা যাবে।’
৬ বোতাম বিশিষ্ট কালো রংয়ের মুজিব জ্যাকেটে নিচের অংশে দুটি পকেট এবং উপরে বাম পাশে বুকে একটি পকেট থাকবে। উন্নত মানের পলি খাদি কাপড় দিয়ে এই মুজিব জ্যাকেট তৈরি করা হয়েছে।খাদি কাপড়ের পরিবেশ বান্ধবতা বজায় রেখে খাদি ভারতীয় লোগো এমব্রোইডারি করে এই জ্যাকেটগুলোর জন্য কালো খাদি সূতার কাপড়ের কভারও তৈরি করা হয়েছে।