পুনরায় লকডাউনে রাজি নয় অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। তবে, যে সমস্ত স্থানে করোনা সম্পর্কিত নিয়ম মানা হচ্ছে না অথবা স্থানীয় করোনা-হটস্পটে পরিণত হয়েছে সেই সমস্ত মার্কেট কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখতে চাইছে দিল্লি সরকার। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি সাধারণ প্রস্তাব পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘দীপাবলির সময় অনেক মার্কেটে দেখা গিয়েছে, কেউ মাস্ক পারেননি অথবা সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলেননি। এজন্য করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়েছে।দিল্লিতে যেহেতু করোনা-সংক্রমণ বাড়ছে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমরা একটি সাধারণ প্রস্তাব পাঠাচ্ছি, যদি প্রয়োজন হয়, যে সমস্ত স্থানে নিয়ম মানা হচ্ছে না অথবা স্থানীয় করোনা-হটস্পটে পরিণত হয়েছে সেই সমস্ত মার্কেট কিছু দিনের জন্য যাতে বন্ধ রাখতে পারে দিল্লি সরকার।’করোনা-পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কেজরিওয়াল এদিন বলেন, ‘অবিলম্বে দিল্লিবাসীর স্বার্থে ৭৫০টি আইসিইউ বেড বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সমস্ত সরকার ও এজেন্সি, কিন্তু জনগণ সাবধানতা অবলম্বন না করলে কিছু করা সম্ভব নয়। প্রত্যেকের কাছে আমার অনুরোধ মাস্ক পরুন এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন।’ বিয়েবাড়িতে ঠিক কতজন এই মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পারবেন, এ প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লিতে যখন করোনা-পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী বিয়েবাড়িতে ২০০ জন উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখন তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে এবং শুধুমাত্র ৫০ জনকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অনুমোদনের জন্য এই সিদ্ধান্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।’ দেশে কোভিড হটস্পট হয়ে উঠেছে দিল্লি। গত ১১ দিন ধরে সংক্রমণের নিরিখে দিল্লি শীর্ষে। এই পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিল কেজরিওয়াল সরকার।
2020-11-17