আগামী ২৬ ডিসেম্বর সূর্যগ্রহণ। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে বলে জানানো হয়েছে। দেখা যাবে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকেও। সূর্যগ্রহণের ফলে ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় মন্দিরের পুজোপাঠ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই মতো বন্ধ থাকাবে জাগ্রত কামাখ্যা মন্দিরও। কামাখ্যা মন্দিরের তরফে জানানো হয়েছে যে, সকাল ৮টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির। সাড়ে ১২টার সময় ফের মন্দির খুলবে। সেই সময় মায়ের ভোগ হবে বলে জানা গিয়েছে।
কামাখ্যা মন্দিরের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে পাঁচ সতীপীঠ। বন্ধ থাকবে তন্ত্রপীঠ তারাপীঠও। ফলে সেদিন কোনও পুজা-অর্চনাও হবে না। সতীপীঠ, তন্ত্রপীঠের মতো গোটা দেশের ৫১ সতীপীঠের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। ফলে এবারের গ্রহণের আগেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্দির কতৃপক্ষের তরফে। সেই মতো সূর্যগ্রহণের সময় সতীপীঠের মন্দির বন্ধ রাখার ঘোষণা মন্দির কর্তৃপক্ষের। মন্দির বন্ধের পাশাপাশি সেদিন গ্রহণের সময় পূজোপাঠও বন্ধ থাকবে।
আজ বুধবার বড়দিন। ছুটির দিন। এই সময় সমস্ত জায়গাতেই কার্যত ছুটির দিন। স্কুল থেকে শুরু করে সবই ছুটি থাকে। বছর শেষে শীতের রোদ্দুর গায়ে মেখে অনেকেই এই সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। যে তালিকায় বিভিন্ন মন্দিরও থাকে। অবশ্যই বীরভূমের পাঁচ সতীপীঠও থাকে। যেমন এই সময় ঘুরতে যাওয়ার তালিকায় থাকে বক্রেশ্বর সতীপীঠ, বোলপুরের কঙ্কালি তলা, লাভপুরের ফুল্লরাতলা, নলহাটির নলাটেশ্বরী এবং সাঁইথিয়ার নন্দীকেশরী তলা। সূর্যগ্রহন চলাকালীন এই সমস্ত মন্দির বন্ধ থাকবে।
ফলে এই সময় কাউকে না যাওয়ার জন্যে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১:৩৬ পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখা থাকবে। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম পুজোপাঠও। তবে ভক্তদের সুবিধার্থে সেদিন ভোর ৩ টে থেকে গ্রহণ লাগার আগে পর্যন্ত হবে তারা মায়ের পুজো। গ্রহণের পর মাকে স্নান করানোর পর ভোগ হবে ৷ তারপরে মন্দির খুলে দেওয়া হবে জনসাধারণের জন্য ৷ প্রাচীনকাল থেকেই তারাপীঠ মন্দিরে এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।
জানা গিয়েছে, গ্রহণ শেষে ভোগ হওয়ার পর মন্দির জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হবে।