দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পর ২০১৫ সালে কল্যাণী এইমস তৈরির কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৈরি হওয়ার কথা ছিল হাসপাতালটি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় প্রকল্প কল্যাণীতে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে চালু হতে চলেছে কল্যাণী এইমস-এর বহির্বিভাগ। একথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিং। এপ্রিলের মধ্যে পুরোদমে আউটডোর পরিষেবা চালু করতে চান তাঁরা। সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু করে দিতে চান রোগী ভর্তির পরিষেবাও। কল্যাণী এইমসে পরিষেবা শুরু হলে দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তর – পূর্ব ভারতের মানুষও উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রামজি সিং জানিয়েছেন, আমরা দ্রুতলয়ে কাজ করছি। কাজ কবে শেষ হবে তা আগে থেকে বলা যায় না। তবে এমাসেই আমরা ছোট করে হলেও বহির্বিভাগ চালু করবো। চেষ্টা করবো এপ্রিলের মধ্যে পুরোদমে বহির্বিভাগ চালু করতে। বলে রাখি, এপ্রিলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পর ২০১৫ সালে কল্যাণী এইমস তৈরির কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৈরি হওয়ার কথা ছিল হাসপাতালটি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় প্রকল্প কল্যাণীতে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
AIIMS চালু হলে রাজ্যের চিকিৎসাক্ষেত্রের ছবিটা আমূল বদলে যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। জটিল রোগের চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না গরিব মানুষের। সঙ্গে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ারও প্রবণতা কমবে। AIMMS-কে কেন্দ্র করে কল্যাণীতে তৈরি হবে চিকিৎসা পর্যটনের সম্ভাবনা।