জানি না এরকম ‘কোরাপ্ট’ লোককে কেন দলে নেওয়া হল, রাজীবের প্রত্যাবর্তনে বিস্ফোরক কল্যাণ।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনার মধ্যে বরাবরই এর বিরোধিতায় সরব ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আগরতলায় রাজীবের যোগদানের পরই এনিয়ে মুখ খুললেন কল্যাণ। 

সংবাদমাধ্যমে কিছুটা অভিমানের সুরে কল্যাণ বলেন, ভোটের সময় ডোমজুড়ের এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩-৪টি বাড়ি রয়েছে গড়িয়াহাটে। দুবাইয়ে তাঁর টাকার লেনদেন চলছিল। তার পরও তাঁকে কেন দলে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্ব বলতে পারবেন। অভিষেক বলেছিলেন, দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত করে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে নেওয়া হবে না। আমিও দলের একজন কর্মী। সাংসদ তো নিশ্চয়। তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনেই সবাইকে চলতে হবে। আমাকেও চলতে হবে। তবে আমি জানি না এরকম একটা টপ টু বটম কোরাপটেড লোককে দলে কেন নেওয়া হল।

রাজীবের তৃণমূলে ফেরার জল্পনার মধ্য়েই গত ১২ জুন কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাত করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কুণাল এই সাক্ষাতকারকে সৌজন্য সাক্ষাতকার বললেও তা নিয়ে সরব হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদ সেসময় বলেন,এনিয়ে কল্যাণের কটাক্ষ, ওটা যদি সৌজন্য সাক্ষাতই হবে তাহলে সংবাদমাধ্যম ওখানে গেল কী করে। কুণাল ও রাজীবই কি শুধু বুদ্ধিমান! আর আমারা কি গরু-ছাগল! রাজীব তৃণমূলে ফিরলে দলের কর্মী-সমর্থকরা কি মেনে নেবে?

এখানেই থেমে থাকেননি কল্যাণ। গত ১৩ জুন ডোমজুড়ের রাজচন্দ্রপুরের এক সভায় কল্যাণ বলেন, ভোটের আগে বলেছিলাম, ওকে ৩০ হাজার ভোটে হারাব। তিন বছর ঘুমোতে দেব না। ভোটের ফল বের হওয়ার এক মাস পরেই কী হয়েছে দেখুন। ঘুম চলে গিয়েছে। চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছ। নাম না করে এভাবেই রাজীবকে নিশানা করেন কল্যাণ।

রাজচন্দ্রপুরে রাজীব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, এখন উনি ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছেন। ভোটের আগে বাঁকড়ায় মিছিল নিয়ে এসে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছিলেন। নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পুলিস নিয়ে এসে তা আটকে দেন। আজ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.